নিজস্ব সংবাদদাতা,দার্জিলিংঃ
শাসক দলের শীর্ষ নেতা জমি মাফিয়া হিম্মতের ব্যবসার অংশীদার,মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই গ্রেফতার হিম্মত। সাধারন একজন হোটেল ব্যবসায়ী থেকে শিলিগুড়ির প্রধান নগর এলাকার ত্রাসে পরিনত হয়েছিল হিম্মত সিং চৌহান। ভোটের জন্য বরাবরই কদর ছিল হিম্মতের। বাম আমলে তার অনুগতদের দাপটে বহু ভোট উতরে গিয়েছে সিপিএম। রাজ্যে পরিবর্তনের সরকার আশার পর হিম্মতও জার্সি বদলে রাতারাতি শাসক দলের ভিড়ে মিশে যান।ধীরে ধীরে হিম্মত শাসক দলের বেশ কিছু শীর্ষ নেতার ঘনিষ্ট হয়ে ওঠেন।ফলে ২০১৫ সালে পুরভোটে হাজারো দুর্নীতির অভিযোগ থাকা সত্বেও শাসক দলের ঘনিষ্টের হাত ধরে টিকিটও পেয়ে যায় হিম্মত।কিন্তুু জয়লাভ করতে পারেননি।সূত্রের খবর নির্বাচনে হেরে যাবার পর ঘনিষ্ট নেতাকে অংশীদার করে রাজনীতিকে সিঁড়ি করে মন দেন জমির ব্যাবসায়। একের পর এক জমি দখল করে বিক্রি করে দেওয়া ছিল তার বাঁ হাতের খেল। জমি দখল করার পর প্রতিবাদ হলেই,শায়েস্তা করার দায়িত্ব নিত তার অনুগামীরা।অভিযোগ থাকা সত্বেও হিম্মতের বিরুদ্ধে এতদিন কোন পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারেনি প্রশাসন। পদক্ষেপ নিতে গেলেও জেলার শীর্ষ নেতাদের সান্নিধ্য থাকায় পিছপা হতে হয়েছে প্রশাসনকে। জেলা নেতারা যাতে প্রশাসনকে কোন চাপে রাখতে না পারে তাই নবান্ন থেকে বিশেষ নির্দেশ আশার পর হিম্মত সিং চৌহানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সূত্রের খবর সরকারি, ব্যাক্তিগত ও পিডব্লিউডির জমি দখল করে দেওয়ার অভিযোগে শনিবার রাতে প্রধান নগর থানার পুলিশ গ্রেফতার করে হিম্মত সিং চৌহানকে।গ্রেফতার করে হিম্মতকে থানায় নিয়ে আসতেই প্রধান নগরথানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তার অনুগামীরা। থানা এলাকায় আতঙ্ক ছড়াতে শূণ্যে তিন রাউন্ড গুলিও চালায় হিম্মত অনুগামীরা। এমন কি সাংবাদিকেরা ছবি তোলায় বেধড়ক পেটায় তার অনুগামীরা। এরপর অবস্থা বেগতিক হয়ে ওঠায় কড়া নিরাপত্তায় হিম্মতকে নিয়ে আসা হয় এনজেপি থানায়। রবিবার হিম্মতকে বিশেষ আদালতে তোলা হয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584