মনিরুল হক,কোচবিহারঃ
২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কোচবিহারের যুবতি খুনের কিনারা করল পুলিশ।
গতকাল ভেটাগুরির এক যুবতীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় সকাল থেকেই চাঞ্চল্য ছড়ায় কোচবিহারে।দেহ উদ্ধারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মৃত ওই যুবতীর এক প্রতিবেশী যুবক আবেশ দেবনাথকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে যুবতী মনিকা দাসকে খুনের কথা স্বীকার ধৃত আবেশ দেবনাথ।আজ তাঁকে কোচবিহার আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডে পাঠিয়েছে।
বুধবার সকালে কোচবিহার ১ নং ব্লকের দেওয়ানহাট-বলরামপুর রাজ্য সড়কের পাশে জিরানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোসাইগঞ্জ বেলতলা তেপথী এলাকায় ওই যুবতীর মৃতদেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পরে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।পরে পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। ওই ঘটনার কাথা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে এলাকায়। প্রথমে মৃতার কোন পরিচয় পাওয়া না গেলেও পরে জানা যায় মৃত ওই যুবতির নাম মন্দিরা দাস(১৯)। তার বাড়ি ভেটাগুড়ির সিঙ্গিজানি গ্রামে। সে দিনহাটা কলেজে প্রথমবর্ষের ছাত্রী।
জানা গিয়েছে,গতকাল ওই যুবতী কয়েকজন বন্ধুর সাথে একটি লাল রঙের মোটর সাইকেলে করে বের হন। তারপর আর বাড়ি ফেরেন নি। তাঁর মোবাইল নম্বরে ফোন করলে বন্ধ রয়েছে বলে জানানো হয়। তবে বাড়ির লোকজন আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু বান্ধবের মধ্যে খোঁজ খবর নিলেও কথাও তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। মৃত ওই যুবতির বাড়ির লোকজন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ভেটাগুরির সিঙ্গিজানি গ্রাম থেকে আবেশ দেবনাথ এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।একটি বাইক আটক করে।
পুলিশ জেরায় ধৃত ওই যুবক জানিয়েছে, দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। তখন একটি বাঁশ দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায় আবেশ। কিন্তু তাঁদের মধ্যে কি নিয়ে বিরোধ বাধে,যে মন্দিরাকে বাঁশ দিয়ে মাথায় মারতে হল? নাকি আগে থেকেই প্রেমিকাকে খুনের পরিকল্পনা করছিল আবেশ?সে সময় আবেশ ছাড়া কি আরও কেউ সেখানে ছিল?ওই খুনের সাথে কি আরও কেউ যুক্ত ছিল? এই প্রশ্ন গুলির উত্তর খুঁজছে তদন্তকারীরা।
পুলিশ জানিয়েছে,প্রথমে জেরায় খুনের কথা স্বীকার করতে চায় নি আবেশ।বিভিন্ন গল্প ফাঁদতে শুরু করে সে। পুলিশি জেরায় আবেশ কখনও অন্য যুবকের সঙ্গে মন্দিরার যাওয়ার কথা জানায়।আবার কখনো বলে তার সাথে কোন প্রেমের সম্পর্ক নেই তার।কিভাবে মৃত্যু হয়েছে মন্দিরার তাও সে জানে না বলে তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের জানিয়েছিল ধৃত ওই যুবক। তবে,পুলিশের দীর্ঘক্ষণ জেরার পর বুধবার রাত সাড়ে এগারটা নাগাদ মন্দিরাকে খুনের কথা স্বীকার করে সে।
আরও পড়ুনঃ তোর্সা নদী থেকে যুবতীর দেহ উদ্ধার
কোচবিহারের পুলিশ সুপার আমিত কুমার সিং বলেন,ধৃত যুবক প্রথমে খুনের কথা স্বীকার করতে চায় নি।বিভিন্ন গল্প ফাঁদছিল।পরে রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ সে খুনের কথা স্বীকার করে।তাঁকে সাত দিনের পুলিশ হেপাজতে নেওয়া হয়েছে।তাঁকে জিজ্ঞাসবাদ করে আরও তথ্য জানার চেষ্টা চলছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584