মনিরুল হক,কোচবিহারঃ
‘আমরা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী।’ এদিন আদালতে তোলার সময় কোচবিহারে অস্ত্র সহ ধৃতদের একজন এমনটাই দাবি করেছেন।গতকাল কোচবিহার কোতোয়ালি থানার পুলিশ ৪টি অত্যাধুনিক অস্ত্র সহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের প্রত্যেকের বাড়ি দিনহাটার সাহেবগঞ্জ থানা এলাকায়।ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় কোচবিহার কোতোয়ালি থানার ঘুঘুমারি ধাবা সংলগ্ন রাস্তা থেকে একটি গাড়ি সহ তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ জানায়।এদের মধ্যে করলার বাসিন্দা সুজন ইসলাম নামে একজনের সাথে সোশ্যাল মিডিয়ায় সাংসদ তথা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থ প্রতিম রায়ের একাধিক ছবি থাকায়,তাঁদের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।যদিও সাংসদ স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেন সুজন ইসলামকে তিনি চেনেন না।তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব ধৃতদের সাথে তাঁদের দলের কোন সম্পর্ক নেই বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন কিন্তু এদিন কোচবিহার আদালতে তোলার সময় ওমর ফারুক নামে ধৃতদের মধ্যে একজন বলেন, “আমরা তৃণমূল কংগ্রেস করি।সবার সাথেই আমার যোগাযোগ রয়েছে।” অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের দিনহাটা ২ নম্বর ব্লক সভাপতি তথা কোচবিহার জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মীর হুমায়ূন কবীর বলেন, “যারা অন্যায় করবে,তারা যেই হোক না কেন,পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।এর থেকে বেশী কিছু বলা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।”
আরও পড়ুনঃ লোকসভার নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করলেন বিজেপি নেত্রী রূপা
গতকাল কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার অভিষেক গুপ্তা সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, ডাকাতির উদ্দেশ্যে গাড়িতে করে যাওয়ার সময় কোতোয়ালি থানার ঘুঘুমারি ধাবা সংলগ্ন রাস্তা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে ৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।ওই ঘটনায় ধৃতরা হলেন ওমর ফারুক,মিজানুর রহমান,সুজন ইসলাম,রাফিকুল ইসলাম, ও সায়েদ আলী খন্দকার কিন্তু ওই ধৃতদের সাথে কারো কারো রাজনৈতিক যোগ মেলায় জেলা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।এদের মধ্যে ওমর ফারুক আজ নিজেকে তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করায় ওই দলের স্থানীয় নেতৃত্বরা কিছুটা হলেও চাপে রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584