নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
ইউনিয়নের নাম করে কোম্পানিতে কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা হাতানোর ঘটনা ঘটলো দুজন বহিরাগতর বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের দাঁতন ভট্টর কলেজে। যদিও দাঁতন ভট্টর কলেজ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তৎপরতায় দুজন বহিরাগত ধরা পড়ে যায়।
অভিযুক্ত দুজনের নাম সান্তনু খাটুয়া(২০) বাড়ি পূর্ব মেদনীপুরের ভগবানপুরের খাতড়াতে ,অপরজন রাজিব মশাল( ২৩ )পশ্চিম মেদনীপুরের দাঁতন ব্লকের তালদাতে।
ঘটনায় জানা যায়, বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ পাইয়ে দেওয়া ও কলেজে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র পরিষদের ইউনিয়নের নাম করে বহিরাগত দুজন কলেজের বিভিন্ন ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছিল।
কয়েকজন কলেজের ছাত্র ছাত্রী তা সঠিক কিনা যাচাই করার জন্য কলেজের ইউনিয়নে জানায় তারপরে তৎপর হয় ইউনিয়নের সদস্যরা। পরে বহিরাগত দুজনকে দাঁতন স্টেশনে গিয়ে তারা ধরে ফেলে এবং ইউনিয়নের নিয়ে আসে।
অভিযুক্ত দুজন যে সকল কোম্পানী গুলির নাম উল্লেখ করেছিল তাদের বৈধ কাগজপত্র কিছুই দেখাতে পারেনি। এরপর ছাত্র সংসদের সদস্যদের, সন্দেহ দেখা দিলে। খবর যায় অধ্যক্ষের কাছে। পরে তিনি দাঁতন থানায় খবর দেন।পুলিশ দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।
অপরদিকে এইভাবে যাদের টাকা নিতে উদ্যত হয়েছিল তাদের মধ্যে পবিত্র মল্লিক, তাপস জানা, কিরন জানা সহ অন্যান্যরা জানায়,”আমরা কলেজের বাইরে একটি দোকানে বসে খাবার খাচ্ছিলাম ।ওইখানে ওদের সঙ্গে আমাদের পরিচয় হয় ।পরে ফোন নাম্বার ও দেওয়া নেওয়া হয় ।কিন্তু ইউনিয়নের নাম করে ও বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে আমাদের কাছ থেকে ফরম পূরণ বাবদ ২৭০ টাকা সঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের আমাদের সব কাগজপত্র নিয়ে নেয়। পরে আমাদের সন্দেহ জাগে ইউনিয়নে জানাই।”
এ বিষয়ে ছাত্র সংসদের ইউনিয়নের সভাপতি অভিষেক দাস জানায়, “আমাদেরকে কয়েকজন কলেজের ছাত্র ছাত্রী এসে বলে বাইরে কেউ বা কারা আমাদের ইউনিয়নের নাম করে এবং বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা নিচ্ছে। আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তৎপর হয়ে আমাদের ইউনিয়নের প্রত্যেকটি ছেলে তাদেরকে খুঁজতে থাকে ।কারণ আমরা ২০০৯ থেকে ইউনিয়নের রয়েছি কিন্তু কোন ভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে জোর করে বা কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা আদায় করা হয় না।
আরও পড়ুনঃ সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় কৃষকদের আক্রমণ বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের,আহত ৯
অবশেষে আমরা ওদেরকে দাঁতন স্টেশন থেকে ধরে নিয়ে এসে ইউনিয়নের রাখি এবং বৈধ কাগজপত্র দেখানোর জন্য বলি ।কিন্তু তারা কোন রকম কিছু বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।পরে আমাদের সন্দেহ হয়।আমরা কলেজের অধ্যক্ষকে জানাই। অধ্যক্ষ দাঁতন থানায় খবর দিলে পুলিশ তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেছে।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584