পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাসকের দফতরের দেওয়াল সেজে উঠছে সুন্দর পট চিত্রে

0
170

নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জেলা শাসকের দফতরের দেওয়াল সেজে উঠছে সুন্দর পট চিত্রে। করোনা আবহে লক ডাউনের টানা ৬ মাস সেভাবে কোনো কাজ ছিল না পিংলার নয়া গ্রামের পট শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকা ২৪৪ টি পটুকার পরিবারের ।

painting | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

তারা জেলা শাসক রশ্মি কমলের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। তিনি তাদের দুদর্শার কথা মাথায় রেখে তাদের অর্থ সংস্থানের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন। সেইমতো জেলা কালেক্টরেটের বিশাল দেওয়াল তাদের সামনে খুলে দেন পট চিত্র ফুটিয়ে তোলার জন্য। গত একমাস ধরে কাজ করে চলেছেন পিংলার নয়া গ্রামের পটুকার মনু চিত্রকর ও বাহাদুর চিত্রকর। কয়েক ধাপ সিঁড়ি পেরোলেই দুপাশের দেওয়ালে চোখ পড়লেই চোখ জুড়িয়ে যাবে।
বামদিকের দেওয়ালে শোভা পাচ্ছে কৃষ্ণলীলা।

আরও পড়ুনঃ বিডেনের সাথে ফোনালাপ, জয়ের জন্য অভিনন্দন মোদীর

drawing | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

কৃষ্ণের গোকুলে বেড়ে ওঠা থেকে মাখন চুরি , রাধার সঙ্গে খুনসুটি সব ঘটনা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ১০০ টি ছবির মধ্যে দিয়ে যেগুলি মূল ছবিকে ঘিরে রেখেছে।

আরও পড়ুনঃ চা বাগান শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি বৃদ্ধির আশ্বাস শ্রমমন্ত্রীর

একই ভাবে ডানদিকের দেওয়ালে শোভা পাচ্ছে চন্ডি-মঙ্গল। কখনো দেবী চন্ডি রণচন্ডি মূর্তি ধারণ করে মহিষাসুরকে বধ করছেন। আবার কখনো গৃহস্থের উঠানে পুজো পাচ্ছেন। এখানেও মূল ছবিকে ঘিরে ছোট ছোট ১০০ টি ছবি দিয়ে চন্ডি মঙ্গল কাব্য ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে।

পট চিত্র যেভাবে ভেষজ রঙ দিয়ে আঁকা হয় এখানে দেওয়ালে সেসব উঠে যাবে তাই রাসায়নিক রঙের ওয়েদার কোট ব্যবহার করা হচ্ছে। ধুলো, ময়লা জমলে জল দিয়ে ধোয়া যাবে।

মনু চিত্রকর জানান, এই কাজ পেয়ে তারা খুশি। রাজ্য সরকার তাদের কথা ভেবেছে। গ্রামের বাকি পট শিল্পীরাও একই কাজ বিডিও অফিস ও অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানে ফুটিয়ে তুলবেন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার
জেলা শাসক রশ্মি কমল জানান , লক ডাউনে পট শিল্পীরা খুব খারাপ অবস্থায় ছিলেন। এখন তাদের কাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। উপযুক্ত পারিশ্রমিক তারা পাবেন।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here