নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্ট’-এ উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য, ফেব্রুয়ারি ২০২০-তে দিল্লি সংঘর্ষে অভিযোগের আঙ্গুল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দিকে। ইংরেজি সংবাদপত্র দ্য টেলিগ্রাফ প্রকাশিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্ট অনুযায়ী গত ফেব্রুয়ারি মাসে উত্তর পূর্ব দিল্লির সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের দায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।
“উত্তর পূর্ব দিল্লির সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনার দায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের, যার দায়িত্বে রয়েছেন অমিত শাহ। রিপোর্ট অনুযায়ী যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে যা থেকে বোঝা যায় এই হিংসার ঘটনা বড়সড় আকার ধারণ করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কারণেই।”
প্রকাশিত সংবাদে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্টটির শেষে বলা হয়েছে, “উত্তর পূর্ব দিল্লির এই হিংসাত্মক ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ হিসেবে আখ্যা দেওয়া একেবারেই ভুল হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ তখনই বলা যাবে যখন দুই দলই সমানভাবে হিংসায় অংশ নিচ্ছে। এক্ষেত্রে তা হয়নি।
আরও পড়ুনঃ সুদীপ্ত সেনের চিঠি সত্যতা যাচাই করতে সিবিআইকে চিঠি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী
যাবতীয় তথ্য প্রমাণ থেকে দেখা গিয়েছে কিছু হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর দলবদ্ধ আক্রমণ থেকে আর অন্য পক্ষ চেষ্টা করছিল সেই আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে। প্রায় সব এলাকার থেকে সংগ্রহ করা ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, পুলিশ এই আক্রমণাত্মক হিন্দুত্ববাদী জনতাকে সাহায্য করেছে।” এই সংঘর্ষে মোট ৫৩জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে মুসলিম সম্প্রদায়ের ৪০জন এবং ১৩ জন হিন্দু সম্প্রদায়ের।
আরও পড়ুনঃ টাইম ম্যাগাজিনের বিচারে পার্সন অফ দ্য ইয়ার জো বাইডেন-কমলা হ্যারিস
প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, ” ১১ মার্চ ২০২০, অমিত শাহ সংসদে জানান তিনি এই ঘটনায় দিল্লির সমস্ত উচ্চ পদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখছেন যাতে পরিস্থিতি আয়ত্বের বাইরে না যায়। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি প্রশ্ন তুলেছে ২৪ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ যেদিন এই হিংসার ঘটনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করে, কেন সেই সময় থেকে কারফিউ জারি করা হলোনা? এমনকি, যে পরিমাণ অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ মোতায়েন করা হল তা যে শুধু প্রয়োজনের তুলনায় নগন্য ছিল তাইই নয় অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে যথেষ্ট দেরিতে বাহিনী পাঠানো হল।”
এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্টে যা কিছু প্রশ্ন তোলা হয়েছে তাতে অভিযোগের আঙ্গুল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দিকেই উঠছে। যদিও অমিত শাহ সংসদে দাঁড়িয়ে এই ঘটনাকে পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলে ব্যাখ্যা করেন। তিনি দিল্লি পুলিশের প্রশংসাও করেন ৩৬ ঘন্টার মধ্যে এই ঘটনা আয়ত্বে নিয়ে আসার জন্য। কিন্তু বাস্তব একটু অন্যরকম, ঘটনার পাঁচদিন পরেও জারি ছিল সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ বলেই প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যাচ্ছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584