বিদায় বেলায় প্রিয় দাদিকে ধন্যবাদ দিন্দার

0
72

অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, স্পোর্টস ডেস্কঃ

আর তিনি বল হাতে ছুটবেন না বাংলার হয়ে। শুধু বাংলার হয়ে বলা ভুল আর ক্রিকেটে কোনো দলের হয়ে বল হাতে দেখা যাবে না বাংলার সর্বকালের অন্যতম সেরা পেস বোলার অশোক দিন্দা। মঙ্গলবার দুপুরেই সিএবি জানিয়েছিল সন্ধ্যা ৬টায় সাংবাদিক বৈঠক করবেন অশোক দিন্দা। সাংবাদিকরা আঁচ করেন অবসর নেবেন মেদিনীপুর এক্সপ্রেস।

press conference | newsfront.co

সন্ধ্যাতে সিএবি’র মিডিয়া সেন্টারে একদিকে বসে তাঁর স্ত্রী, অন্য পাশে সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া সচিব স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাস। সিএবি-র তরফে দিন্দার হাতে তুলে দেওয়া হলো রুপোর স্মারক ফুলের তোড়া। তবে খানিকটা অনাড়ম্বরভাবেই শেষ হল ২১ বছরের বর্ণময় কেরিয়ার। আর কিছুদিন পরেই ৩৭ বছর পূর্ণ করবেন দিন্দা। তিনি এদিন বলেন, “সৈয়দ মুস্তাক আলিতে গোয়ার হয়ে বোলিংয়ের সময় উপলব্ধি করি শরীর দিচ্ছে না। রঞ্জিও হচ্ছে না, সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত। বিসিসিআই ও গোয়া ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে জানালাম। সিএবি, বিসিসিআই, বিভিন্ন ক্লাব, সতীর্থদের ধন্যবাদ।“

cricketer | newsfront.co

পাশাপাশি তাঁর কেরিয়ারে বাবা-মা-দাদা-স্ত্রীর অবদানের কথা উল্লেখ করলেন দিন্দা। বিশেষ প্রথম কোচ অটলদেব বর্মনের কথা। বললেন, “উনি বাড়িতে রেখে আমাকে ক্রিকেট শিখিয়েছেন। উনি না থাকলে আজ এই জায়গায় আসতে পারতাম না। অবসর ঘোষণার সময় দিন্দা ফিরে গেলেন তাঁর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেকের কথায়। তখনই উল্লেখ করলেন তাঁর কেরিয়ারে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের অবদানের কথা।

বললেন, “বাংলার ১৫ জনের দলে ছিলাম না। দাদি অধিনায়ক আমাকে ১৬তম সদস্য হিসেবে নিয়ে যান। মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিষেক হয়, তারপর বরাবর উৎসাহ দিয়ে গিয়েছেন। দাদার টিপস মেনেই দলীপ, রঞ্জি-সহ ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বা আইপিএলে দাদার পরামর্শ মেনে চলেছি। আমার কেরিয়ারে তাঁর বিরাট অবদান দাদার।“ সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া বলেন, “বাংলার সর্বকালের সেরা পেসারদের মধ্যে দিন্দা অন্যতম। বহু ম্যাচ জিতিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ জাপান সরকারের আশ্বাস, অলিম্পিক এই বছর টোকিওতেই

লম্বা স্পেলে টানা বোলিং করেছেন অবলীলায়। দিন্দাকে সিএবি-র সঙ্গে যুক্ত হতেও অনুরোধ করেন অভিষেক। দিন্দা বলেছেন আপাতত বিশ্রাম নেবেন তারপর ভেবে দেখবেন। তাহলে কি অন্য খেলোয়াড়দের মতো রাজনীতিতে সেই প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন দিন্দা। রঞ্জিতে বাংলার হয়ে পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়া ছাড়াও।২০০৯ সালে নাগপুরে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি ২০ অভিষেক হয় অশোক দিন্দার। প্রথম উইকেট নেন তারকা শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যান সনৎ জয়সূর্যকে।

আরও পড়ুনঃ বাতিল অস্ট্রেলিয়া দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে ভারত ও নিউজিল্যান্ড

ভারতের হয়ে শেষ টি ২০ খেলেছেন ২০১২-র ডিসেম্বরে আমেদাবাদে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। ৯টি ম্যাচে পেয়েছেন ১৭টি উইকেট, সেরা বোলিং ১৯ রানে ৪ উইকেট। একদিনের আন্তর্জাতিকে দিন্দার অভিষেক হয় জিম্বাবোয়ে সফরে। ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে শেষবার জাতীয় দলের হয়ে ওয়ান-ডে খেলেন। ১৩টি ম্যাচে তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ১২টি উইকেট। আইপিএলে কেকেআর ছাড়াও, পুনে ওয়ারিয়াস ইন্ডিয়া, দিল্লী ডেয়ারডেভিলস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জর্স বেঙ্গালুরুর হয়ে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here