নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিন দিনাজপুরঃ
গত আগষ্ট মাসে গঠিত হয়েছে বুনিয়াদপুর পৌরসভা। প্রথমবার ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। পৌরসভা হলেও বুনিয়াদপুর শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে এখনও রয়ে গেছে নোংরা আবর্জনায় ভর্তি। পৌরবাসীদের পক্ষ থেকে বারংবার অভিযোগ তোলা হয়েছে এই নিয়ে। এদিকে বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিষ্কার করার লক্ষে অভিযানে নামল বুনিয়াদপুর পৌরসভার। এর জন্য নতুন করে ৭৫ কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে পৌরসভার পক্ষ থেকে। তবে নোংরা ফেলার জায়গা না থাকায় বর্তমানে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। যদিও এই সমস্যা খুব তাড়াতাড়ি মিটবে বলে জানিয়েছেন বুনিয়াদপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান অখিল বর্মণ।
২০১৪ সালে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন বুনিয়াদপুরকে পুরসভা হিসেবে। বংশীহারীর শিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েকটি এলাকাকে নিয়ে ১৪টি ওয়ার্ড তৈরি গঠন করা হয়। নির্বাচন না হওয়াতে পুরসভার কাজকর্ম হত মহকুমা শাসকের তত্ত্বাবধানে। অবশেষে ২০১৭ আগস্ট মাসে রাজ্যের অন্যান্য পুরসভার সঙ্গে নির্বাচন হয় এই পুরসভার।
সেখানে ১৩টি তৃণমূল এবং ১ টি বিজেপি দখল করে। একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে গত ১৩ সেপ্টেম্বর মাসে বোর্ড গঠন করে। এরপর ধীরে ধীরে তৈরি হয় পৌর ভবন। লাগানো হয় রোড লাইট। সংস্কার করা হয় রাস্তা। তবে এর পরেও এলাকায় নোংরা আবর্জনা সে ভাবে পরিষ্কার হয় না বলে ক্ষোভ ছিল এলাকাবাসীর। এদিকে পৌরসভার আবর্জনা ফেলার জায়গা না থাকায় সমস্যা পড়ে পৌর কর্মীরা। যত্রতত্র নোংরা ফেলতে গিয়ে কয়েকজন পৌরসভার সাফাই কর্মীকে মারধর করে এলাকাবাসীরা বলে অভিযোগ ওঠে। অবশেষে এবার নড়েচড়ে বসল বুনিয়াদপুর পৌরসভা। এলাকার নোংরা আবর্জনা ফেলার জন্য ৭৫ জন কর্মীকে নিয়োগ করল পৌরসভা। এছাড়াও ডোর টু ডোর সার্ভে করা হবে বলে পৌরসভার পক্ষ থেকে জাননো হয়েছে।
এবিষয়ে বুনিয়াদপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান অখিল বর্মণ, জানান পৌরসভার নোংরা ফেলার জন্য ও ডোর টু ডোর সার্ভে করার জন্য ৭৫ জন কর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছে। যাদের পৌরসভা সরাসরি বেতন দেবে। অন্য দিকে পৌর সাফাই কর্মীকে মারধরের ঘটনার কথা সরাসরি স্বীকার করেন নি বুনিয়াদপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান অখিল বর্মণ। তবে এমন ঘটনা কেউ ঘটিয়ে থাকলে তারা ঠিক করছেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে শহর পরিষ্কার করতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে পৌরসভার পক্ষ থেকে বলে তিনি জানিয়েছেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584