সুদীপ পাল, বর্ধমানঃ
প্রশাসনের দরজায় নয় মাস ধরে ঘুরেও সহায়কমূল্যে ধান বিক্রির টাকা পাচ্ছিলেন না পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম। অবশেষে ‘দিদিকে বলো’ নাম্বারে ফোন করে টাকা পেলেন তিনি।
জামালপুরের সেলিমবাদ গ্রামে বাড়ি মনিরুলের। গত বছর ১৬ ডিসেম্বর সেলিমবাদ কৃষি সমবায় সমিতি থেকে সহায়কমূল্যে ধান বিক্রির টোকেন সংগ্রহ করেন।
নির্দিষ্ট রাইস মিলে গিয়ে তিনি ৬১ কুইন্ট্রাল ৯৭ কেজি ধান বিক্রি করেন। বিক্রি বাবদ ১ লক্ষ ৮ হাজার ৪৪৭ টাকা তাঁর পাওনা হয়। সহায়কমূল্যে ধান বিক্রি করলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে চাষীর একাউন্টে টাকা ঢুকে যাওয়ার কথা।
কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও সেই টাকা আসেনি। এরপর মনিরুল সমবায় সমিতিতে যান। সেখানে আশ্বাস মেলে কিন্তু ধানের টাকা মেলেনা। গত ১৫ জুলাই জেলা শাসকের কাছে ধান বিক্রির টাকা পেতে তিনি আর্জি জানান।
আরও পড়ুনঃ দিদিকে বলো অনুপ্রেরণায় পুজোয় থিম ‘মাকে বলো’
জেলাশাসক তাঁকে আশ্বাস দিয়েছিলেন, সহায়কমূল্যে ধান বিক্রি করে থাকলে অবশ্যই টাকা পাওয়া যাবে। তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু তাঁর ব্যবস্থা নেওয়ার দুমাস অতিক্রান্ত হয়ে যায়।
অবশেষে কোনো সুরাহা না হওয়ায় মনিরুল ‘দিদিকে বলো’ নম্বারে ফোন করে তাঁর সমস্যার কথা জানান। এরপরেই আর্থিক সংকটের সুরাহা হয় মনিরুলের। মঙ্গলবার ব্যাংকে গিয়ে পাস বই আপডেট করে তিনি নিশ্চিত হন ধান বিক্রির পুরো টাকাটা ঢুকেছে তাঁর অ্যাকাউন্টে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584