মনিরুল হক,কোচবিহারঃ
তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতির বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে।ওই ঘটনায় তিনটি বাইক ভাঙচুর করা হয় বলে জানা গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে তুফানগঞ্জ-২ বলরামপুর এলাকায়।ওই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।ওই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ।ঘটনাস্থল উত্তেজনা থাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,আজ রাত ১১ টা নাগাদ তুফানগঞ্জ ২নং ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি সামিউল ইসলামের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় বিজেপি আশ্রিত কিছু দুষ্কৃতী।অভিযোগ, লোকসভা ভোটের পর থেকে বিজেপির অত্যাচারে এলাকায় থাকতে পারছে না তৃণমূল কর্মীরা। তার জেরে তুফানগঞ্জ ২নং ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি সামিউল ইসলাম বাড়ি ছাড়া হয়ে রয়েছেন। তার বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা মা ওই বাড়িতে থাকেন। আজ ওই বৃদ্ধ বাবা মা যখন রাতে ঘুমিয়ে পড়েছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের বাড়িতে হামলা করে। শুধু তাই নয় বাড়ি ঘর ভাঙচুর করে আলমারি থেকে সোনা-গহনা, টাকা পয়সা এমনকি তিনটি বাইক ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ।
ওই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। ঘটনায় এলাকা উত্তেজনা থাকলে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় পুলিশ।
তুফানগঞ্জ ২নং ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি সামিউল ইসলাম বলেন, আজ রাত ১১ টা নাগাদ বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমার বাড়িতে ভাঙচুর করে। আমার ওই বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা মা থাকেন। সেই সময় বাড়িতে হামলা চালায়। শুধু তাই নয় ঘরের ভেতরে থাকা আলমারি ভেঙ্গে টাকা পয়সা, সোনা দানা যা ছিল তা লুটপাট করে নিয়ে যায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।
তিনি আরও বলেন,আমার বাড়িতে আমার বোন ও তার জামাই সঙ্গে আরও একজন আসছিল। তাঁদের দুটি বাইক ভাঙচুর করে। আমার বোনের ব্যাগ থেকে প্রায় ১০ হাজার টাকা নিয়ে যায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। যেহেতু আমরা বিজেপির তান্ডবে লোকসভা ভোটের পরে এলাকায় থাকতে পারছি না। তাই বাড়িতে বৃদ্ধ লোক পেয়ে ভাঙচুর করে লুঠপাট করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ।
যদিও এবিষয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতা নিমাই মণ্ডলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই ঘটনাটা আমি শুনেছি। কিন্তু ওই ঘটনার সাথে আমাদের বিজেপির কোন লোক জড়িতে নয়। কারণ বিজেপি এধরনের রাজনীতি করে না। যারা এধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তারা টিএমসি অথবা সিপিএমের লোকজন করতে পারে বলে ধারনা।
তিনি আরও বলেন, যেখানেই কোন ঘটনা ঘটচ্ছে সেটা বিজেপি করচ্ছে বলে আমাদের দলের গায়ে কালি মেখিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে।তাই আমরা আজকের ঘটনা নিয়ে দলের জেলা নেতৃত্বদের নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করব।
আরও পড়ুনঃ আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর পরিবার
কারা এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। কেন তারা আমাদের দলের বদনাম করছে। তাঁদের বিরুদ্ধে দলগত ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ বিজেপি এই ধরনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584