মোহনা বিশ্বাস, ওয়েব ডেস্কঃ
রাজনীতির উত্তাপে ফের উত্তপ্ত ত্রিপুরা। বুধবার সন্ধ্যায় পাঁচটি গণমাধ্যমের গাড়ি সহ দুটি সিপিএম পার্টি অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। গতকালের পর আজ বৃহস্পতিবার সকালেও দলীয় কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে ও ভাঙচুর চালনো হয়েছে বলে অভিযোগ সিপিএমের।
ত্রিপুরায় পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালানোর প্রতিবাদে আজ, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেছে সিপিএম। তাদের দাবি, বিজেপিই এই ভাঙচুর চালিয়েছে। ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও তুলছেন বামনেতারা। পুলিশের সামনেই পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালানো এবং অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটলেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে দাবি বামশিবিরের।
পুলিশ আধিকারিক রমেশ যাদব বলেন, “সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং শীঘ্রই এই ঘটনার পিছনে যেসব দুষ্কৃতিদের হাত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, গত সোমবার ধনপুর এলাকায় যখন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার প্রবেশ করতে যাচ্ছিলেন তখন তাঁর কনভয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার সিপিএম কর্মীরা। এই ঘটনা নিয়ে গোটা রাজ্য জুড়ে ধিক্কার মিছিল বের করা হয়। সেই ধিক্কার মিছিল চলাকালীনই বুধবার ত্রিপুরার বেশ কিছু এলাকায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে।
আরও পড়ুনঃ ভবানীপুরে সিপিআইএম-এর প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস, ফের তরুণ মুখেই ভরসা আলিমুদ্দিনের
এদিকে, আক্রান্ত সাংবাদমাধ্যমগুলি অপরাধীদের আটক করার জন্য পুলিশকে ১২ ঘন্টা সময় দিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে পুলিশ যদি দোষীদের না ধরতে পারে তাহলে গণমাধ্যম সংগঠনগুলো রাস্তায় নামবে।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যসভায় মানস ভুঁইয়ার ছেড়ে যাওয়া আসনে ভোটের দিন ঘোষণা করল কমিশন
বুধবার রাতে ঘটনার নিন্দা করে টুইটে সরব হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটারে তিনি লেখেন, “হিংসা এবং গুণ্ডামি ত্রিপুরার বিজেপির মজ্জায় মজ্জায় রয়েছে। এদিন সেটা আবারও প্রমাণিত হয়ে গেল। গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভও আজ আক্রান্ত।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584