নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ
করোনার কালো ছায়া যেন পিছু ছাড়ছে না। এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। তার উপর তো আমফান, যশের ভ্রূকুটি আছেই। সব মিলিয়ে মানুষ আজ বড় অসহায়। সমাজে থেকে সমাজের জন্য আজ নানা কাজে যেমন এগিয়ে এসেছে বিশিষ্টজনেরা, আবার সমাজের নানা স্তরের মানুষও নিজের মতো করে সাহায্য করছেন অন্যদের। গড়ে উঠছে বিভিন্ন স্বেচ্চাসেবী, সমাজকল্যাণ মূলক সংস্থা। সেগুলির মধ্যেই ‘স্বাতী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন’ আরও একটি।
করোনা আক্রান্ত, দুস্থ অসহায় কর্মহীন পরিবারের পাশে থাকতে ‘ভবঘুরে কলম’, স্বাতী বোল ফেসবুক পেজে এবং ‘স্বাতী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন’-এর নম্বরে ফোন করে বললেই মিলছে সাহায্য। রান্না করা খাবারের ফ্রি হোম ডেলিভারি থেকে শুকনো খাদ্যসামগ্রীও পৌঁঁছে যাচ্ছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে।
২০১৯ এর স্বাধীনতা দিবসের দিন এই সংস্থার পথ চলা শুরু।এর প্রধান লক্ষ্য গুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল গৃহহীন বৃদ্ধ, বাচ্চাদের মুখে রোজ খাদ্য তুলে দেওয়া। এই অতিমারির সময়ে কাজ আরও বেড়েছে সংস্থার।আগরপাড়ার রেল বস্তি অঞ্চলে প্রায় ২৫০ টি পরিবারকে (কর্মহীন সদস্য) সাহায্য করে চলেছে এই সংস্থা। এ ছাড়াও ইটভাটা অঞ্চলে অপুষ্টিতে জর্জরিত গরিব মানুষদের খাবার পরিবেশন করে এই সংস্থা। বাদ পড়েনা যৌনপল্লির মানুষজনও।
আরও পড়ুনঃ আর্টিস্ট ফোরামের নয়া উদ্যোগ, গড়ে উঠবে সাময়িক সুস্থতা কেন্দ্র ‘সৌমিত্র’
এছাড়া স্বাতী ওয়েলফেয়ারের আগরপাড়ার অফিস থেকে কোনও অসহায় পরিবারের প্রয়োজন হলে সে খাদ্যসামগ্রী বিনামূল্যে সংগ্রহ করতে পারবে। আগরপাড়া থেকে ব্যারাকপুরের মধ্যে এই সংস্থা করোনা আক্রান্ত পরিবার, যাঁরা আর্থিকভাবে দুর্বল তাঁদের বিনামূল্যে খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। প্রয়োজনে যোগাচ্ছে অক্সিজেন সিলিন্ডারও।
আরও পড়ুনঃ নুসরতের উদ্যোগে বসিরহাটে সেফ হোম
পাশাপাশি মাজদিয়া, বারাসাত, কৃষ্ণনগর, গঙ্গাসাগর প্রভৃতি অঞ্চলেও কোভিড পীড়িত অসহায় কর্মহীন দরিদ্র পরিবারের পাশে দাঁড়াচ্ছে তারা। এই উদ্যোগে শসমিল প্রায় সত্তর জন। আর এর নেপথ্যে এবং নেতৃত্বে লেখিকা স্বাতীলগ্না বোল। তিনি তাঁর ফেসবুক পেজ ‘ভবঘুরে কলম’-এ স্বাতী বোল থেকে ক্রাউড ফান্ডিং করেন। নিজের লেখা বইয়ের বিক্রির আয়ও বিলিয়ে দেন সংস্থার কাজে। স্বাতী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের পেজ থেকেও আবেদন জানানো হয় সহযোগিতার।
স্বাতীলগ্না এই প্রসঙ্গে বলেন,” দিনের পর দিন মানুষের অপূর্ণ হওয়া খিদের জ্বালাই মানুষকে ঠেলে দেয় অপরাধমূলক কাজের দিকে। অভুক্ত মানুষেরা পেটের জ্বালা নিবারণের জন্যেই চুরি থেকে দেহব্যবসা, বিভিন্ন কাজ করে। আমরা যদি এই পেটের জ্বালাকে খাবার দিয়ে নিবারণ করি তাহলে এই কোভিডের সময়ে অপরাধমূলক কর্মকান্ড থেকে এরা বিরত থাকবে। এদের মুখে একচিলতে হাসি ও এদের খিদে নিবারণও আমাদের কাজ। “
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584