সিমা পুরকাইত,দক্ষিণ ২৪ পরগনাঃ
বকখালি সমুদ্র সৈকতে ছুটি কাটাতে পর্যটকদের ভিড়। দুর্ঘটনা অকুতভয় করে নেহাতই কম নয় সমুদ্র সৈকতে।কেউ কেউ সমুদ্রে স্নান করছেন।আবার কোন কোন পর্যটক সৈকতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ফ্রেজারগঞ্জ উপকূলরক্ষী বাহিনীর মাইকিং প্রচার। বকখালি সমুদ্রে কিছুক্ষণের মধ্যে সুনামি আছড়ে পড়বে।তাই সকলেই সমুদ্র,হোটেলের পাশাপাশি ঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যান।এই ঘোষনা শোনার পর পর্যটকসহ সকলের মাথায় বাজ ভেঙে পড়ল।কী করবে ভেবে উঠতে পারছিলেন না তারা।ততক্ষণে লণ্ডভণ্ড শুরু হয়ে গেছে।ভেঙে পড়ছে গাছপালা।সমুদ্রে ভাসছে অনেকেই।কেউ কেউ গাছপালা আটকে পড়েছেন।কোথাও ইলেকট্রিক লাইন ছিঁড়ে রয়েছে।যোগাযোগ ব্যবস্থাও পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন।ততক্ষনাৎ হাজির হলেন রাজ্যসরকারের এনডিআরএফ সিভিল ডিফেন্স কলকাতা পুলিশের।ফ্রেজারগঞ্জ উপকূলরক্ষী বাহিনী, স্থানীয় ফ্রেজারগঞ্জ পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। উদ্ধার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে সকলেই।সবাইকে এলার্ট করা হয় পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য।যথেষ্ট বেগ পেতে হয় উদ্ধারকারী দলকে।উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয় আহতদের।তবে এটি সত্যিকারের সুনামি নয়।প্রতীকী মাত্র। সুনামির মক অভিনয় মাত্র।যাতে করে দক্ষিন সুন্দরবনের বন্যা কবলিত এলাকায় যদি কোনোদিন সুনামি নেমে আসে।তা আতঙ্কিত না হয়ে কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে তারই মহড়া।রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এদিনের মকডিল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফ্রেজারগঞ্জ উপকূলরক্ষী বাহিনীর কমাণ্ডার অভিজিৎ দাশগুপ্ত,শ্রীমন্ত মালি স্থানীয় প্রক্তন সভপতি নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির,নামখানা বিডিওসহ একাধিক সরকারি আধিকারিক।
এই মহড়া অনুষ্ঠানের কথা মাইকিং করে কিছুদিন আগে স্থানীয় মানুষদের জানানো হয়। যাতে করে তারা সুনামির এই সতর্কতা সত্যি সুনামি ভেবে ভয় না পান।কিন্তু অনেক পর্যটক বিষয়টি জানতেন না।তাই প্রথমের দিকে তারা কিছুটা ভয় পেয়ে যায়। তারপর বিষয়টি তাদের কাছে পরিষ্কার হয়।তবে এদিনের সুনামির মহড়ার দৃশ্য যেভাবে তুলে ধরা হয়।তা বাস্তবকেও হার মানায়।
আরো পড়ুনঃ চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি না থাকায় উদ্ধার হওয়া শিশুদের স্থায়ী ঠিকানা নেই
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584