নিজস্ব সংবাদদাতা, মুর্শিদাবাদঃ
সাদিখানদেয়ার বাঁশ শিল্পীদের পরিবারের সঙ্গে কথা বললেন নিউজ ফ্রন্ট -এর প্রতিনিধি। তাদের রুজি রোজগার খবর করতে গিয়ে উঠে আসলো এক করুন চিত্র।
আমরা জন্ম থেকেই বাঁশশিল্পীর কাজে নিয়োজিত পরিবার সূত্রেই এই কাজ আমাদের জানা। আমাদের অন্য কোনো কাজে কেও ডাকেনা, আর কোনো কাজ পায়নি। তাই বাঁশের বিভিন্ন রকম জিনিস বানিয়ে তা গ্রামে গ্রামে বিক্রি করতে হয়,আবার অনেকে পাইকারি নিয়ে যায় এখান থেকে।
এইভাবেই চলে আসছে আমাদের তবে এখান থেকে তেমন কোনো ভালো উপার্জন করা যায় না, যা হয় তাতে কোনো রকম সংসার চলে যায়।এমনকি ভালো করে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করানো হয় না। এমনই উত্তর এক বাঁশ শিল্পীর কাছ থেকে।
প্রদীপ বেত বাঁশ শিল্পী বলেন, আমাদের বাড়িতে আত্মীয় স্বজন আসলে ভালোভাবে তাদের অ্যাপায়ন করতে পারিনা, কারণ কোনো রকম ভাবে নিজের সংসার চলে। আর এখন পর্যন্ত বাসঘর করতে পারিনি, রান্না ঘর করতে পারিনি। বলেই নিজেদের দুঃখের দৈনিক অবস্থার হালচাল শোনান তিনি।
আরও পড়ুনঃ বাজেয়াপ্ত কয়েক বস্তা নকল ডিটারজেন্ট পাউডার আটক ব্যবসায়ী
রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে কথা বললে বলেন যে আমাদের মাথায় তেল নেই তাই আমরা কোনো কিছু পাইনি, অনেক বার পঞ্চায়েত অফিস, বিডিও অফিস গিয়েছিলাম কোনো খোঁজও নেয়নি কেও। আমরা সপরিবারে এই কাজে যুক্ত আছি তার পরেও ভালো উপার্জন করা যায় না।
দিনে মোটামুটি সাত থেকে আটটি করে বাঁশের তৈরী নানাবিধ জিনিস করে আসছি দুই জন মিলে, বাজার মূল্য একটার দাম চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ টাকা। মূলকথা হলো এর উপরের সংসার চলার একমাত্র উপায় বলেই জানান তারা, তাদের দাবি সরকারের কোনো সাহায্য সুযোগ-সুবিধা তারা এখনো পায়নি।
যদি বর্ষা শুরু হয় তখন খুব সমস্যা হয় আমাদের বাঁশের চটা না শুকোয় তাহলে সর্পস, কুলো, ফুলের ঝুড়ি ইত্যাদি তৈরি করা যায় না, তখন সংসার চালানো খুব কষ্টের হয়। যদি সরকার আমাদের কোনো ভাতা বা আর্থিক সাহায্য করে তাহলে আমাদের অনেকটা ভালো হয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584