রিচা দত্ত,মুর্শিদাবাদঃ
দিনের পর দিন অবৈধভাবে বালি তুলে শহরে নিয়ে গিয়ে বিক্রির অভিযোগ বড়ঞায়।সরকারি নির্দেশ অমান্য করে ময়ুরাক্ষী নদী ও কানা ময়ুরাক্ষী নদী থেকে অবৈধভাবে বালি তুলে বিক্রির অভিযোগ উঠলো বড়ঞা থানার অন্তর্গত সুন্দরপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের মালিয়ান্দি, বৈদনাথপুর গ্রাম সংলগ্ন এলাকায়।
জানা যায়, প্রায় তিন মাস ধরে এলাকার কিছু বালি মাফিয়া এই নদীর বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রাক্টরে করে বালি লোড করে তা বিক্রি ও মোজায়েত (ডিপো) করছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই বালি মাফিয়ারা ময়ুরাক্ষী নদী ও তার পাশ দিয়ে চলে যাওয়া কানা ময়ুরাক্ষী নদী থেকে দিনের পর দিন নদী থেকে বালি তুলে তা বিক্রি ও বর্ষার পর এই বালি চড়া দামে বিক্রির আশায় মোজায়েত করছে। এলাকার কিছু বালি মাফিয়া এই অবৈধ কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। যাতে ব্যপক হারে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এই এলাকার সাধারণ মানুষ।
তারা জানায়, এতদিন শুধু নদী থেকেই অভিযুক্তরা বালি তুলত কিন্তু বর্তমানে নদীতে জল চলে আশায় তাদের নজর এখন গরীব কৃষকদের জমির দিকে। এই মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে বহু জমি কৃষি কাজের অযোগ্য হয়ে পড়ছে।
এই কারবার বেশি দিন যাবৎ চলতে থাকলে এলাকাবাসীদের বহু কষ্টের মধ্যে থাকতে হবে। এই বিষয়ে বিএলআরও অফিস সহ সমস্ত প্রশাসনিক স্তরে জানানো সত্বেও কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুনঃ ধান বিক্রি করতে গিয়ে ধলতা নেওয়ার অভিযোগ
জানা যায়, এই বালি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার স্থানীয় কিছু লোকজন বড়ঞা থানা সহ কান্দি মহকুমা শাসককে একটি লিখিত অভিযোগ করেন, যেখানে ওই এলাকারই কিছু মানুষের নাম দেওয়া হয়। সুবির সাহা, আলো সেখ, ইউসুফ সেখ আপেল সেখ ও বটু সেখ।
এরা সকলেই সুন্দরপুর ও বৈদনাথপুর এলাকার বাসিন্দা। জানানো হয় এই কয়েকজনের ভয়েই কেউ প্রতিবাদ করতে যেতে পারেনা ওই এলাকায়।অভিযুক্ত কয়েকজনই এই চোরাই কারবার চালিয়ে যাচ্ছে দিনের আলোই প্রকাশ্যে এবং সবার সামনেই।
এই বিষয়ে স্থানীয় গ্ৰাম পঞ্চায়েত প্রধান হেনেকা বিবি জানান, এলাকার কিছু মাফিয়া এই চোরাই কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। এই বিষয়ে এলাকাবসীদের অভিযোগ পেয়েছি ।সেই অভিযোগ সমস্ত প্রশাসনিক স্তরে জানানো হয়েছে।আমরা এই বিষয়ে আবারো বিএলআরও অফিসে জানিয়েছি। এই অবৈধ কারবার বন্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584