শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
রাজ্য জুড়ে শাসক দল তৃণমূলের অপকর্ম সামনে আনতে তৃণমূলের ‘বাংলার গর্ব মমতা’-র পালটা বিজেপির তরফে আনা হয়েছিল ‘বাংলার লজ্জা মমতা।’ কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচারে সেই ‘বাংলার লজ্জা মমতা’ কেই পিছনে ফেলে এগিয়ে গেল ‘বাংলার গর্ব মমতা’। শুক্রবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রেন্ডিং তালিকা প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, ‘বাংলা লজ্জা মমতা’ যা মমতার বিরুদ্ধে বিজেপির আনা নতুন কর্মসূচি তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলার মানুষ। একই সঙ্গে দাবি করা হয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় জনসমর্থনে কলকাতার ভিত্তিতে তৃণমূল কংগ্রেসের গৃহীত কর্মসূচি ‘বাংলার গর্ব মমতা’ সবাইকে পেছনে ফেলে এক নম্বর স্থানে আছে।
এমনকি সারা ভারতের ভিত্তিতেও জনসমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপিকে পেছনে ফেলেছে ‘বাংলার গর্ব মমতা’। দেশের নিরিখে তৃণমূল ১৬ নম্বর স্থান অধিকার করেছে এবং বিজেপি ২৮ নম্বরে রয়েছে। কার্যত কয়েকদিন আগেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ‘বাংলার লজ্জা মমতা’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন।
আরও পড়ুনঃ করোনা চিকিৎসার ব্যাপক ঘাটতি, রাজ্যের সব হাসপাতালে নয়া নির্দেশিকা স্বাস্থ্য দফতরের
তারপর থেকেই জনসমর্থনে পূর্ণ শক্তি লাগিয়েছিল তৃণমূল। এদিন সোশ্যাল মিডিয়াতেও সেই চিত্রই ধরা পড়ল। করোনা আবহে মাঠে ময়দানে নেমে প্রচার সম্ভব নয়। তাই নেট দুনিয়াকেই হাতিয়ার করতে শুরু করেছে রাজ্যের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলগুলি।
যদিও এ বিষয়ে অনেকটাই এগিয়ে ছিল রাজ্য বিজেপি। কিন্তু বর্তমানে সেই পথ অনুসরণ করে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে তৃণমূল। তাই আগামী ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগৈ ডিজিটাল মাধ্যমে পদ্মফুল নাকি ঘাসফুলকে এগিয়ে থাকে প্রচারে তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর টক্কর।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584