সিমা পুরকাইত,দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ
অভিনব কায়দায় ব্যাঙ্ক জালিয়াতিতে সর্বশান্ত হল এক যুবক।ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মথুরাপুর ২ নম্বর ব্লকের রায়দিঘি থানার নন্দকুমার পুর এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় প্রতারিত যুবক ধনঞ্জয় গিরি,রায়দিঘির এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক শাখায় একটি সেভিংস একাউন্ট করেন তার স্ত্রী এবং নিজের নামে।সেভিংস অ্যাকাউন্ট এ তিনি আস্তে আস্তে বেশ কিছু টাকা জমিয়ে ছিলেন,মার্চ মাসের শেষের দিকে ব্যাঙ্কের শাখা এসে বই আপডেট করতে চাইলে দেখেন বই আপডেট হচ্ছে না তিনি ওই দিন ফিরে যান টাকার প্রয়োজন প্রায় এটিএম এ টাকা তুলতে গিয়ে দেখেন এটিএম হোল্ড দেখাচ্ছে।
ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বললে ম্যানেজার একটি ফরম ফিলাপ করে ৪ নম্বর কাউন্টারে দিতে বলেন কিছুক্ষণ পরে বই আপডেট করতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ তিনি দেখেন গত ইংরেজি ৭/২/২০১৯ তারিখে ৪ দফায় টাকা উঠেছে ,প্রথমে ২০ হাজার দ্বিতীয় দফায় ৬৫০০ তৃতীয় দফায ়২০ হাজার এবং শেষ দফায়২০ হাজার মোট ৬৬৫০০ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।অ্যাকাউন্টের সঙ্গে মোবাইলে মেসেজ পদ্ধতি চালু করা থাকলেও কোনো মেসেজ পাইনি বলে অভিযোগ কিন্তু ঐ দিন এক আত্মীয় ৬০০০ টাকা পাঠিয়ে ছিল তার মেসেজ সে পায়।টাকা তুলে নেওয়ার মেসেজ কিন্তু সে মোবাইলে পাইনি।এই বিষয়ে ম্যানেজারকে জিজ্ঞেস করায় তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘আমাদের কিছু করার নেই তোমার টাকা কে বা কারা তুলে নিয়েছে আমরা কি করে উত্তর দেবো।’
প্রতারিত যুবককে বাধ্য হয়ে রায়দিঘি থানার আশ্রয় নিতে হয়।যদিও রায়দিঘি থানার পুলিশ ব্যাঙ্কের তদন্তে আসেন।
আরও পড়ুনঃ চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা,ধৃত পিতা-পুত্র
এখন প্রশ্ন যদি এটিএম থেকে একদিনে ৪০ হাজার টাকার বেশি তোলা না যায় নিয়ম অনুযায়ী তবে কিভাবে এটিএম থেকে একসঙ্গে ৬৬ হাজারের বেশি টাকা তুলে নেওয়া হলো!তাও ৪ বারে ।এখন প্রশ্ন এর সঙ্গে কি বড় ব্যাঙ্কের কোন কর্মচারী জড়িত? সেটাই এখন ভাবাচ্ছে গ্রাহকদের।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584