নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুরঃ
ঋষি বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মরণে ‘বঙ্কিম মেলা’ এগরার নেগুয়া বড়পুকুর সুভাষ ময়দানে। শুক্রবার এই অনুষ্ঠানের সূচনা হয় শোভাযাত্রার মাধ্যমে।
স্কুলের পড়ুয়ারা বিদ্যাসাগর, বঙ্কিমচন্দ্র ও বিবেকানন্দের প্রতিকৃতি নিয়ে এলাকা পরিক্রমা করে। একটি ধর্মসভারও আয়োজন হয়। নেগুয়া ‘আনন্দ মঠ’ নামের এক স্বেচ্ছা সেবী সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত ‘বঙ্কিম মেলা’ এবার ২৬ তম বর্ষে পদার্পণ করলো।
২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে আগামী ৬ মার্চ পর্যন্ত মেলা চলবে। মেলায় রয়েছে শতাধিক স্টল। সাহিত্যবাসর ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন রয়েছে প্রতিদিন।
আরও পড়ুনঃ মেচেদায় এনআরসি-র বিরুদ্ধে জনসভায় পরিবহণমন্ত্রী
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ, অধ্যাপক ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রবোধ চন্দ্র সিনহা, এগরার মহকুমাশাসক অপ্রতীম ঘোষ, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সদস্য উত্তম বারিক, এগরার এসডিপিও আকতার আলি, এগরা-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অমিয় কুমার রাজ, বিডিও বংশীধর ওঝা, এগরার ওসি কাশীনাথ চৌধুরী, আরবিসি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রেণুকা দাসমহাপাত্র, সমবায়ী সুকুমার রায়, সমাজসেবী দীপক সার ও ননীগোপাল জানা ও সন্দীপন দাস মহাপাত্র আয়োজক সংস্থার সভাপতি অজিত কুমার জানা ও সম্পাদক কমলেন্দু দাসমহাপাত্র প্রমুখ।
আয়োজক সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, তৎকালীন ১৮৬০ সালের ১২ এপ্রিল অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার নেগুয়া মহকুমার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট এন্ড ডেপুটি কালেক্টরের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় কয়েকমাস তিনি ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট এন্ড ডেপুটি কালেক্টর ছিলেন।
এখান থেকেই তিনি ‘কপালকুন্ডলা’ উপন্যাস লিখে ছিলেন।তারপর তিনি খুলনা চলে যান। ঋষি বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের নামাঙ্কিত এই ‘বঙ্কিম মেলা’।এখানে ১৯৯৫ সালে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু এখানে সাহিত্যিক বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কোন সংগ্রহশালা নেই বলে অভিযোগ। বর্তমান সরকারের তরফে অনুদান ছাড়া আর তেমন কোন সাহায্য- সহযোগিতা পাওয়া যায়নি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584