কবির হোসেন, স্পোর্টস ডেস্কঃ
না ভাষা এক, না দেশ। এক না গায়ের রং এক, কিন্তু একটা মিল আছে স্পোর্টসম্যান স্পিরিট যা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় খেলার মঞ্চকে আলোকিত করেছে। ১১৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম জোড়া স্বর্ণপদক দেওয়া হয় হাইজাম্পার মুতাজ এশা বারশিম ও জিয়ামার্কো টেমবেরিকে। টোকিও অলিম্পিক্স খেলোয়াড়দের সৌজন্য ও আন্তরিক বোধের উদাহরণ হিসেবে যা চিরস্মরণীয় ও স্বর্ণ অক্ষরে লেখা থাকবে।
টোকিও অলিম্পিক্সে হাইজাম্প ইভেন্টে প্রতিযোগিতা চলছিল সমান সমান। ইভেন্ট বিচারকরা উভয়কে ট্রাইবেকার অৰ্থাৎ জাম্প অফ করার সিদ্ধান্ত নেয় কিন্তু টেমবেরি পায়ের পেশির টানের জন্য জাম্প করা থেকে বিরত হন। এমত অবস্থায় এশা বারশিম জাম্প করতে অস্বীকার করে। রেফারিকে বলেন যে, দুইজনকে সোনার পদক দেওয়া যায় না ? কর্মকর্তারা বিভিন্ন নথি দেখে সিদ্ধান্ত নেন যে, রুপোর পদক বাদ দিয়ে দুইজনকে সোনার পদক দেওয়া যাবে। রেফারির সাথে কথাপকথনের সময় এশা বারশিম ও টেমবেরি মধ্য কোন আলোচনা হয়নি। অথচ এশা যদি জাম্প করতে রাজি হতেন তাহলে ২০২০ টোকিও অলিম্পিক্সের হাই জাম্পের সোনার পদক নিজের গলায় নিতে পারতেন।
Fave moment of the Olympics so far. Barshim (Qatar) and Tamberi (Italy) were tied in the high-jump final. The official is there talking about a prospective jump-off, but Barshim asks immediately: "Can we have two golds?" One look, no words exchanged, they know they're sharing it. pic.twitter.com/E3SneYFocA
— Andrew Fidel Fernando (@afidelf) August 1, 2021
আরও পড়ুনঃ প্রথম টি২০ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২৩ রানে জয় বাংলাদেশের
যখন স্কোরবোর্ডে দুজনের বিজয়ী নাম দেখায় একে অপরকে জড়িয়ে ধরে তারা। সত্যি এটাই যে অলিম্পিক্সের সোনার পদকের জন্য এত পরিশ্রম ও অধ্যবসিত দূরে রেখে এশা বারশিম তার প্রতিদ্বন্দ্বীর সাথে ভাগ করে নিয়ে অলিম্পিক্সের মর্যাদা অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে। কাতারের এশা বারশিম পোডিয়ামে জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে গোল্ড মেডেল লাভের চেয়ে চোট গ্রস্থ সতীর্থ ও সুস্থ প্রতিযোগিকে বেশি করে চেয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ টোকিও অলিম্পিক্স থেকে দুটি পদক এল ভারতে, ইতিহাস গড়লেন সিন্ধু
এটা ঠিক যে ইতালির এই খেলোয়াড় জিয়ানমার্কো টেমবেরি গত রিও অলিম্পিক্সে গোড়ালিতে চোট পেয়ে তার কেরিয়ার প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মনের জোরে প্যারিসের ডায়মন্ড লিগে কোয়ালিফাই করলেও ঠিকমতো পারফরম্যান্স করতে পারছিল না। এই এশা বারশিম তাকে উৎসাহ ও সাহস জুগিয়েছেন। এশা যখন রেফারিকে বলেন যে, আমি জাম্প দেব না সোনার পদকটা ভাগ করে নেব । সেই সময় তা ‘The Greatest Show On Earth’ যথার্থ রূপ পায়। এশা বারশিম ও টেমবেরি তোমরা সত্যি সোনার ছেলে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584