নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
ভোট পরবর্তী হিংসার যে ঘটনা শুরু হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সেই ঘটনা নির্বাচনের ফলাফলের পরে আরও বড় আকার ধারন করেছে।ফল প্রকাশের পর রাজ্যে বিজেপি বিরোধী দল হিসেবে এগিয়ে এসেছে।এরপর থেকে রাজনৈতিক দ্বৈরথ নেমে আসে হিংসা সংঘর্ষে।
এদিন তৃণমূল বিধায়কের উপস্থিতিতেই মারধর করা হয় বিজেপি সমর্থকদের।প্রতিবাদ করতে গেলে পুলিশের পাল্টা মারও জোটে।।আহত হন এক মহিলা সহ তিন জন।বিজেপি করায় কর্মী সমর্থকদের মারধর করা হয়েছে এমনটাই অভিযোগ উঠলো তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় তৃণমূলের বিধায়কের উপস্থিতিতে বিজেপি কর্মীদের মারধর ও দোকান ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ উঠে।ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন থানার অন্তর্গত মাটিবিরুয়াতে।মারধরের ঘটনায় আহত হয় গৃহকর্মী আরতি দাস,হরিশচন্দ্র দাস ও ছেলে শুভাশিষ দাস(১৮)।
আরও পড়ুনঃ টাকা দিতে না চাওয়ায় দলীয় কার্যালয়ে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
অভিযোগ গতকাল রাতে বিধায়ক বিক্রম প্রধান মোহনপুর থেকে ফেরার সময় প্রায় জনা দশেক লোক নিয়ে আক্রমন চালায় বিজেপি কর্মী হরিশচন্দ্র দাসের বাড়িতে।মারধর করা হয় তার ছেলেকেও।গুরুতর ভাবে আহত হলেও কাউকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেয়নি তৃণমূল কর্মীরা।
ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে বিধায়কের উপস্থিতিতে হরিশচন্দ্র দাসকে মারধর করে দাঁতন থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক।এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।এই ঘটনায় সকাল থেকে মাটিবিরুয়া এলাকায় পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী।এলাকায় রাজনৈতিক চাপা উত্তেজনা ঘনীভূত হচ্ছে।বিজেপি কর্মী হরিশ চন্দ্র দাস কে মারধরের প্রতিবাদে জলেশ্বর থেকে মোহনপুরগামী রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিজেপি।
বিজেপি যখন পথ অবরোধ করে তখন মাটিবিরুয়া গ্রামের ভিতর মারধর করে বিষ্ণুপদ দাস নামে আর এক বিজেপি কর্মীকে।পুলিশি প্রহারার সত্ত্বেও বিজেপি কর্মীকে মারধরের ঘটনায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।আহত বিজেপি কর্মীকে দাঁতন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।বারবার পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলছে বিজেপি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584