মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
বিজেপির ২৪ নং মণ্ডলের সহ সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃনমূল কংগ্রেসের একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে।
সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে গিতালদহ এলাকায়। ওই ঘটনার পর আক্রান্ত নেতাকে উদ্ধার করে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে এই ঘটনার পর এলাকা উত্তেজিত থাকায় ঘটনাস্থলে ছুটে যান দিনহাটা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, আক্রান্ত ওই ব্যাক্তির নাম মহেশ চন্দ্র দে। তার বাড়ি গিতালদহ এলাকায়। সে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, এদিন রাতে গিতালদহ বাজার থেকে কিছু কেনাকাটা করে বাড়ি ফিরছিলেন জেলা পরিষদের ২৪ নম্বর বিজেপির সহ সভাপতি মহেশ চন্দ্র দে।
সেই সময়ই তৃনমূল আশ্রিত কিছু দুষ্কৃতীরা তাকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। এমনকি লোহার রড দিয়ে আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে।
আরও পড়ুনঃ দুই ছাত্রের হাতাহাতিতে গুরুতর আহত ১
এদিন রাতে বিজেপির এই ২৪ নং মণ্ডল সহ সভাপতির তৃনমূল কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ছুটে আসেন বিজেপির যুব মোর্চার দিনহাটা শহর মন্ডলের সভাপতি মুন্না সাউ সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।
এরপর তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কোচবিহারে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে সে কোচবিহার শহরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এবিষয়ে দিনহাটা শহর মণ্ডলের যুব মোর্চার সভাপতি মুন্না সাউ বলেন, লোকসভা নির্বাচনে তৃনমূলের পায়ের তলার মাটি সরে যাওয়াতে তারা আতঙ্কে রয়েছে।
দিনহাটার বিভিন্ন এলাকায় তৃনমূল কংগ্রেস সন্ত্রাস চালাচ্ছে। গতকাল রাতে আমাদের কার্যকর্তা মহেশ চন্দ্র দে কে মারধোর করছে। সে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তৃণমূল যতই দিনহাটার বুকে সন্ত্রাস করুক আমাদের কর্মীদের তারা আটকাতে পারবে না। কারন মানুষ তাদের ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। আমরা বিষয়টি রাতেই আমরা দিনহাটা থানার আইসি সঞ্জয় দত্তকে গোটা ঘটনাটি জানাই বলেও তিনি জানান।
যদিও তৃনমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে তৃনমূল নেতা তথা ২৪ নং জেলা পরিষদের সদস্য নুর আলম হোসেন বলেন, “ওটা বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল।
নিজেরা নিজেদের ভাগাভাগি নিয়ে মারামারি করে তৃনমূলের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে প্রচারের আলোয় আসতে চাইচ্ছে বিজেপি।
মানুষ তাদের দিক থেকে মুখ ফিরে নিয়েছে। তাই বিজেপি এখন দিনহাটা জুড়ে সন্ত্রাসের বার্তা বরন তৈরি করার চেষ্টা করছে। তাতে কোন লাভ হবে না, মানুষ বুঝে গেছে বিজেপি আসল রুপ।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584