শিবশঙ্কর চ্যাটার্জ্জী, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ
স্ত্রীর বাড়ি গিয়ে স্ত্রী-সহ শ্বশুর-শাশুড়িকে মারধরের অভিযোগ উঠল স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বংশীহারি থানার জোড়দিঘি এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার বাসিন্দা হরেকৃষ্ণ দত্তর ছোট মেয়ে নমিতা দত্তর বিয়ে হয় গঙ্গারামপুর থানার রুহিদাসের সঙ্গে।

বিয়ের এক বছর যেতে না যেতেই শুরু হয় নমিতার উপর পণের দাবিতে অত্যাচার করত শ্বশুর বাড়ির লোকজন। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাস নমিতা দত্ত প্রেম-পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হয় গঙ্গারামপুরের রুহিদাসের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর বাড়ির লোকজন খুবই অত্যাচার করত তার উপর। নমিতা দত্ত অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাপের বাড়িতে চলে আসে।
গতকাল রাতে স্বামী রুহিদাস-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন নমিতা দত্তর বাড়ি এসে তার মা, বাবা-সহ বাড়ির সবাইকে মারধর করে। এমনকি নমিতার এক বছরের সন্তানকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সেই সময় তার চিৎকারে গ্রামের লোকজন ছুটে এসে তাদের রক্ষা করে। শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের মধ্যে দু’জন ধরা পড়ে এবং বাকিরা পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ জুয়ার আসরে হানা দিয়ে দুই মহিলা-সহ গ্রেফতার ৫
ঘটনার খবর পেয়ে বংশাল থানার পুলিশ ছুটে আসে এবং দুই জনকে গ্রেফতার করে। নমিতা দত্ত জানায়, “গতকাল রাতে আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করি শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ দায়ের করা পর্যন্ত আসামিরা জেলখানায় ছিল কিন্তু বংশীহারি থানার পুলিশ টাকার বিনিময় আসামিদের কে ছেড়ে দেয়।”
মহিলা আরও জানায়, “সেই কারনে আমি গঙ্গারামপুর মহাকুমার পুলিশ আধিকারিকের কাছে অভিযোগ করি কী কারণে পুলিশ এই সমস্ত আসামিকে ছেড়ে দেয়। আজকে আমি যখন গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে আসি, সেই সময় দেখি বংশীহারি থানা থেকে কোনও আসামি আদালতে আসেনি।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584