সিমা পুরকাইত, দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ
ভাদ্রমাসের শুক্লা অষ্টমী তিথিতে জন্মাষ্টমী পালন হয়। পুরুষ নারী উভয়ই এই ব্রত পালন করেন। মথুরা বা বৃন্দাবনে জন্মাষ্টমীতে মাতেন প্রবীন নবীনরাও।
এবার সুন্দরবন জুড়ে জন্মাষ্টমীতে মেতেছেন। সারাবছর কেউ পড়াশুনা করে কারও পেশা মীন কাঁকড়া ধরা। কেউ ব্যস্ত চাষের কাজে। ভাদ্র মাস পড়লে সংসারের আয় বাড়াতে বেছে নেন জন্মাষ্টমীর পালাগান। পূর্ব পুরুষের ঐতিহ্য বজায় রেখে পালাগান গেয়ে চলেছেন সুশান্ত তপন রাজারামরা।
দক্ষিন সুন্দরবনের মৈপীঠ এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামে বাড়ি এদের। জন্মষ্টমীর তিনদিন হাটে বাজারে, বাড়িতে বাড়িতে কৃষ্ণসেজে কৃষ্ণের সখা সখি সেজে পালগানের আসর বসান। গোপালকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরে ঘুরে গ্রাম বাংলায় তিনদিন ধরে মাতেন পালাগাইয়েরা।
আরও পড়ুনঃ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে চোপড়ায় কাদা খেলা উৎসব
কেউ বা সন্ধ্যা নামলে জলন্ত ধুনুচি জ্বলিয়ে কৃষ্ণের জন্ম তীথি পালন করেন। মৈপীঠ, নতুনবাজার পেঁজকুলঘাট, বাঘের মোড়, কুড়ি বিঘা, জামতলা, জ্বালাবেড়িয়াতে ঘুরে ঘুরে দিন রাত গান করেন। আর রোজগার আয় করেন পালা গাইয়েরা। শতাধিক পালা গানের দল রয়েছে দক্ষিন সুন্দরবনে।
এক একটি দলে রয়েছে ২০ থেকে পঁচিশজন প্রতিনিধি। সারাবছর বাঘ কুমীরের সঙ্গে লড়াই করে জীবন যাপন করলেও বছরের এই তিনটি দিন জন্মষ্টমীতে সময় দেন রোজগারের আশায়।
তিনদিনে যেটুকু আয় হয় দলের ক্ষুদেদের দু’শ তিন’শ টাকা হাত খরচ দিয়ে বাকিটা ভাগ বাটোয়ারা করেন দলের নবীন প্রতিনিধিরা। যা এক একজন চার পাঁচহাজার বারো হাজার টাকা আয় করেন তিনদিনের পালাগানের মধ্যে দিয়ে। যা দিয়ে দুর্গোৎসবের আগে কিছুদিনের জন্য স্বচ্ছলতা আনে তাদের জীবনে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584