সুদীপ পাল, বর্ধমানঃ
আনাজের বাজারে স্বাদে তেতো হলেও খাদ্যগুণের দিক থেকে বিচার করলে তার জুড়ি মেলা ভার। তাই সারা বছর তার চাহিদাও থাকে। সারা বছর ধরে করলা চাষ করে সংসার চালাচ্ছেন আউসগ্রামের গ্রামের গলিগ্রামের চাষিরা।
এলাকার চাষীরা বলছেন, বিকল্প চাষ হিসেবে করলা চাষ শুরু করা হয়েছিল। লাভ ভালো থাকায় নিজেদের যে জমি রয়েছে সেগুলিতে করার পাশাপাশি অন্যের জমিতেও চাষের চেষ্টা করা হয়। নিয়ম মেনে চাষ করলে করলা চাষ থেকে লাভ মেলে বলে মন্তব্য করছেন এলাকার চাষি উদয় মাঝি। তিনি ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি পরিবার করলা চাষ করে এখানে।
সাধারনত করলাতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ভিটামিন সি আছে। এছাড়া অ্যাসিড, ফসফরাসের মতো উপাদান রয়েছে। ফলে রোগ প্রতিরোধ করার পাশাপাশি নানা ধরনের সংক্রমণের হাত থেকে করলা রক্ষা করে শরীরকে। জৈব পদার্থ যুক্ত দোঁয়াশ ও বেলে দোঁয়াশ মাটি করলা চাষের পক্ষে উপযোগী। সেইভাবেই জমি তৈরি করা হয় বলে মন্তব্য চাষিদের।
আউসগ্রাম ১ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা দেবতনু মাইতি বলেন, অত্যন্ত উপকারী একটি আনাজ এবং এর চাহিদা সারাবছর ভালই থাকে। তবে চাষের সময়ে ভাল জাত নির্বাচন করা ভাল মানের বীজ নির্বাচন করা জরুরি। বীজ বপনের আগে বীজ শোধন করে নিলে রোগ পোকার আক্রমণ কম হয় বলে তিনি জানান। তবে ফসল তোলার সময় কোনভাবেই রাসায়নিক কীটনাশক প্রয়োগ করা উচিত নয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন। চাষীরা বলছেন, বীজ বপনের থেকে দুই মাসের মধ্যে গাছে ফুল আসে। ফুল আসার ১২-১৫ দিনের মধ্যে সংগ্রহ করা যায় করলা।
সুতরাং স্বাদে তেতো হলেও সংসারের লাভে যে অত্যন্ত মিঠে এই করলা চাষ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584