শিব শংকর চ্যাটার্জ্জী,দক্ষিন দিনাজপুরঃ
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় শীত প্রবেশ করতেই ক্ষতির আশঙ্কায় ভুগতে শুরু করেছে পান চাষীরা।প্রাচীন পলিমাটি অঞ্চল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা ধান উৎপাদনে রাজ্যের মধ্যে বিশেষ স্থানে রইলেও বিগত কয়েক বছরে পান চাষ যথেষ্টই বৃদ্ধি পেয়েছে এই জেলায়। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার যে সমস্ত এলাকায় পান চাষ হয় তার মধ্যে হিলি ব্লকের পাঞ্জুলের আগ্রা এলাকা অন্যতম। এই অঞ্চলের চাষীরা নিজেদের জমিতে ধান-পাট চাষ করলেও পরবর্তীতে এই এলাকার বেশীরভাগ কৃষক পান চাষের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ে।
বর্তমানে আগ্রা এলাকার ৭০-৮০টি পরিবার চাষের সঙ্গে যুক্ত। এলাকায় রয়েছে পান চাষীদের ১০০-১৫০টিরও বেশী পানের বরজ। ধান চাষের বদলে পান চাষ শুরু করতেই লাভের মুখ দেখতে শুরু করে এলাকার পান চাষীরা।কিন্তু বিগত বছর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় শীত প্রবেশ করতেই এই এলাকায় পানের ধসা রোগ শুরু হয়।ক্ষতির মুখে পড়তে হয় আগ্রা এলাকায় পান চাষের উপর নির্ভর করে থাকা পান চাষীদের।বিপুল ক্ষতির মুখ থেকে বাচার জন্য সেই সময় আগ্রা এলাকার পান চাষীরা স্থানীয় সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের নিকট আর্থিক সাহায্য চেয়ে দারস্থ হলেও পান চাষীদের অভিযোগ সরকারের কাছ থেকে তারা কোন আর্থিক সাহায্য পান নি। এরপর পরিস্থিতি সামাল দিতে দক্ষিণ দিনাজপুরের মাঝিয়ান এলাকার উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিশেষজ্ঞরা পানের ধসা রোগ মোকাবেলায় পান চাষীদের ঔষধ দিয়ে সাহায্য করে কোনরকমে তৎকালীন পরিস্থিতি সামাল দেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে বছরের বিভিন্ন সময়ে পানের পাতা আহরণ করা হলেও মূলত কার্ত্তিক মাসে আহরণ করা পান পাতার চাহিদা অনেক বেশী। কালীপূজার পর থেকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় শীত প্রবেশ করতেই হিলি ব্লকের আগ্রা এলাকার পান চাষীদের মধ্যে শুরু হয়েছে পানের ধসা রোগের আতঙ্ক।এলাকার পান চাষীদের আশঙ্কা গত বছরের শীতকাল সময়ের ন্যায় এবারেও যদি পানের ধসা রোগ দেখা দেয় তবে তাদের বিপুল ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।আগ্রা এলাকার পান চাষী ইন্দ্রজিৎ বর্মণ জানান তারা পানের ধসা রোগ বিষয়ে আতঙ্কে রয়েছেন।
পাশাপাশি তিনি এও বলেন এই এলাকায় পান চাষীদের নিয়ে কোন পান সমিতি গড়ে না উঠায় তারা পানের সঠিক মূল্য পাচ্ছেন না। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মাঝিয়ান এলাকার উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিজ্ঞানী তথা সাবজেক্ট ম্যাটার স্পেশালিষ্ট প্লান্ট বলেন পানের ধসা রোগের অগ্রিম মোকাবেলা করার জন্য আগ্রা এলাকার পান চাষীরা বা ঐ এলাকার ফার্মাস ক্লাব যদি তাদের সাথে যোগাযোগ করে তাহলে তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।এর পাশাপাশি পানের ধসা রোগকে প্রতিহত করতে অগ্রিম প্রস্তুতি হিসাবে রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহারের পরিবর্তে জৈব উপায়ে নিদানের কথাও ব্যক্ত করা হয়।
আরও পড়ুনঃ মাটির তৈরি জিনিসের দাম না থাকায় সংকটে শিল্পীরা
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584