শ্যামল রায়,বর্ধমানঃ
ভোট যায় আর ভোট আসে। ভোটের সময় নেতারা ভাঙ্গনরোধে ব্যবস্থা নেয়া হবে প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয় না বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে ভাগীরথীর ভাঙ্গনের কবলে কেতুগ্রামের বহুগ্রাম।
মনে চাষযোগ্য জমি বহু বাড়িঘর ভাগীরথীর জলের তলায় বিলীন হয়ে গিয়েছে। তাই ভাঙ্গন থেমে নেই প্রতিদিনই কিছু না কিছু ভাগীরথীর পাড় ভেঙে গ্রাস করছে জমি জায়গা।
মারাত্মক ভাবে ভাঙনের কবলে পড়েছে কেতুগ্রাম ২নম্বর ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকার বহু গ্রাম।
তাই ভাঙ্গনের কবলে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কের মধ্যে জীবন-যাপন করছেন।
জানা গিয়েছে যে খোদ সীতাহাটী পঞ্চায়েত অফিসে কোথাও স্থানীয় বিদ্যালয় ভবন কোথাও পাকা রাস্তা ভাঙ্গনের দোরগোড়ায় এসে দাঁড়িয়েছে।
এই সকল এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ যে ভাঙ্গন রোধে কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা না নেওয়ার ফলে ভাঙন ক্রমশ জোরালো আকার ধারণ করছে।
আসছে বর্ষাকাল তাই বর্ষা আসার আগেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন তারা।সিতাআটি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন রয়েছে নৈহাটি বলাডাঙ্গা শাখাই বেনেপাড়া নলিয়াপুর সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্ত এলাকার বহু জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে এছাড়াও কাটোয়া শহর থেকে সাঁকারঘাট উদধানপুর হয়ে মৌ গ্রামের দিকে যাওয়া রাস্তা ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে।
বহু পুরনো এই রাস্তাটি রক্ষা করতে না পারলে স্থানীয় মানুষজনের কাছে আরও ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করবে বলে জানা গিয়েছে।
বর্তমানে যেভাবে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে তাতে নৈহাটি গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়টি যেকোনো সময় ভাঙনের কবলে তলিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
একই অবস্থা শাখাই বেনেপাড়া গ্রামের ।
ভাগীরথীর নদীর পাড় ঘেঁষে বহু কাঁচা পাকা রাস্তা নদীগর্ভে ইতিমধ্যেই বিলীন হয়ে গিয়েছে।
বর্ষা শুরু হতেই ভাঙ্গনের আকার ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। যেভাবে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে ফিতাটি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস টিও ভাগীরথীর তলায় তলিয়ে যেতে পারে যেকোনো মুহূর্তে।
সীতা আটি গ্রামের বাসিন্দা দীপক চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে প্রশাসন থেকে তড়িঘড়ি ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা না নিলে আগামী দিন এই সমস্ত এলাকা আদৌ টিকে থাকবে কিনা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই আর এরাই পাম্প হাউজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের বেশকিছু বসতবাড়ি তলিয়ে গেছে এবং আরও তলিয়ে যাওয়ার অপেক্ষায় দিন গুণছে।
পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিকাশ বিশ্বাস জানিয়েছেন যে ভাঙ্গন যেভাবে শুরু হয়েছে আমাদের পঞ্চায়েত অফিস টিও যেকোনো মুহূর্তে ভাঙ্গনের কবলে পড়ে যেতে পারে আমরা সকলেই চিন্তার মধ্যে রয়েছি।
ভাঙ্গন সম্পর্কে কাটোয়া মহকুমা শাসক সৌমেন পাল জানিয়েছেন যে ভাঙনের বিষয়টি আমরা জেলার শেষ দপ্তরকে জানিয়েছি। ভাঙ্গন যেভাবে শুরু হয়েছে তাতে চিন্তার কথাই। স্থানীয় বিধায়ক শেখ শাহনেওয়াজ জানিয়েছেন যে রাজ্য সরকারের পাশাপাশি ভাঙ্গনরোধে কেন্দ্রীয় সরকারের অনেক দায়িত্ব রয়েছে কিন্তু কোন স্থায়ী সমস্যার সমাধানে কেন্দ্রীয় সরকার করছেনা বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584