শ্যামল রায়,নবদ্বীপঃ
ভাঙ্গন দীর্ঘদিনের। এখনো নবদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত মহিশুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রাম ভাগীরথীর ভাঙ্গনের কবলে।গ্রামবাসীদের অভিযোগ যে বাম আমলেও ভাঙ্গন নিয়ে পাকাপোক্ত কোনো ব্যবস্থা হয়নি তৃণমূলের সরকারের আমলেও এক রকম অবস্থায় রয়ে গেছে।তাই এলাকার বাসিন্দারা ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সরব হয়েছেন।
নবদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির নিসনা গ্রাম পঞ্চায়েতের মাহাতো পাড়া মালিতাপাড়া রাজিবপুর চৌধুরী পাড়ার বাসিন্দারা ভাঙ্গনের কবলে পড়ে রাতের ঘুম উবে গিয়েছে বলে অভিযোগ।ঐ সকল গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ যে চার দশক ধরে ভাঙন ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে বিঘের পর বিঘা জমি বসতবাড়ি এবং রাস্তা ভাগিরথীর গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। এলাকাবাসির আরো অভিযোগ যে প্রতিবছর ভাঙ্গন দেখতে নদীয়া জেলার সেচদফতর এবং প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিরা বারবার পরিদর্শন করলেও ভাঙন প্রতিরোধের কাজ এখনো শুরু হয়নি এলাকায়।ফকিরডাঙ্গা গোলাপাড়া এলাকাতেও ভাঙ্গন অব্যাহত।ইতিমধ্যে ঐ সকল এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন কখন যেন তাদেরও জমি বাড়ি বসতবাড়ি বিলীন না হয়ে যায়।পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হরিদাস দেবনাথ জানিয়েছেন যে, মহিশুরা এলাকায় বিভিন্ন গ্রাম ভাগীরথীর ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে আমরা কথা বলেছি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আশা করব আগামী দিন ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিন্তু এই ভাঙ্গনের ব্যবস্থাটা দেখা হয় কেন্দ্র সরকারের সেচ দফতরের তরফ থেকে কিন্তু সেরকম কোনো ইতিবাচক ভূমিকা এক নজরে আসেনি আমাদের।তবে নদীয়া জেলার সেচ দফতরের বাস্তুকার সুরজিৎ দত্ত জানিয়েছেন যে আমরা ঐ সমস্ত ভাঙ্গন কবলিত এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখেছি চারটি গ্রামের অবস্থাটা ভয়ংকর শীঘ্রই বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানানো হয়েছে,আশা করব কাজ শুরু হবে।মনসুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আকমল সরদার জানিয়েছেন ভাগীরথীর ভাঙ্গনের বিষয়ে প্রশাসনের কাছে বহুবার তদবির করেছি কিন্তু তাদের কোন হেলদোল নেই অথচ বছরের পর বছর ভাঙন অব্যাহত ইতিমধ্যেই চারটি গ্রামের মানুষ ভাঙ্গনের কবলে পড়ে আতঙ্কের মধ্যে দিন যাপন করছে।
আরও পড়ুনঃ আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে গ্রেফতার যুবক
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584