পোস্টাল ডিপার্টমেন্টকে হাইকোর্টের জবর ধাক্কা

0
1338

মনিরুল ইসলাম, কোলকাতাঃ-

গ্ৰামীন ডাক সেবক পরীক্ষা সংক্রান্ত মামলায় পোস্টাল ডিপার্টমেন্টকে হাইকোর্ট জবর ধাক্কা দিল।মাদ্রাসার মাধ্যমিক সমতুল্য পাশ  করা ছাত্র-ছাত্রীদের  গ্ৰামীন ডাক সেবক পদের পরীক্ষায় বসার অধিকার ফিরিয়ে দিল।আজ প্রায় এক ঘন্টা শুনানির পর অন্তরবর্তী কালীন রায়ে এই ঘোষণা দেন বিচারক।

আজকের রায়ের পর প্রেসক্লাবে সামসুল আলম

উল্লেখ্য,মাদ্রাসা বোর্ডের  ডিগ্ৰি কেন্দ্রীয় ডাক বিভাগ অবৈধ ঘোষণা করে দায় চাপায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ‍্য সরকারের উপরে । ডাক বিভাগের বক্তব্য ছিল রাজ‍্যের শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, মাদ্রাসা পর্ষদ যে সার্টিফিকেট ইস‍্যু করে তা আইন ও সরকারি নির্দেশ মেনে করা হয়না। এই খবর জানাজানি হতেই রাজ‍্যের শিক্ষা মহলে হৈচৈ পড়ে যায়। পথে নামে বিভিন্ন সংগঠন।

এই নিয়ে সেন্ট্রাল আ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল কোর্টে(ক‍্যাট/CAT) কেস করে মাদ্রাসা মাধ্যমিক পাশ করা ছাত্র-ছাত্রীদের মধ‍্য থেকে জিডিএস’এ পুরানো বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকারী সামসুল আলম। সাহায্য করে বেঙ্গল মাদ্রাসা এডুকেশন ফোরাম ও আলিয়া ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মুখলেসুর রহমান।ডঃ রহমান ও বেঙ্গল মাদ্রাসা এডুকেশন ফোরামের সহযোগিতায় কেস করে প্রথমে ২৬ জন প্রার্থীকে পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিয়েছিল ক্যাট কোর্ট , পরবর্তীতে পর্ষদ ১৬ জনকে পৃথক মামলায় সহ মোট ৪২ জনকে পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেন ক্যাটের বিচারপতি নান্দিতা চ্যাটার্জি । তবে সেই সময় ক্যাটের ঐ নির্দেশকেও অমান্য করেছিল ডাক বিভাগ I ডাক বিভাগে কোর্টে নাকি পেশ করে এক রহস্যজনক চিঠি, যেটা নাকি পশ্চিমবঙ্গেরই কোন এক শিক্ষা দপ্তরের পাঠানো।  ডাক বিভাগ দাবি করে যে রাজ‍্যের শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, মাদ্রাসা পর্ষদ যে সার্টিফিকেট ইস‍্যু করে তা আইন ও সরকারি নির্দেশ মেনে করা হয়না। জট আবার পাকিয়ে যায়।

এই ব্যাপারে সুষ্ঠু সমাধান জন্য — বেঙ্গল মাদ্রাসা এডুকেশন ফোরাম পুনরায় মামলা করে ৷ পাশাপাশি একাধিক শিক্ষামূলক ও রাজনৈতিক সংগঠনও একই দাবীতে পথে নেমেছিল ৷ তাই , আজকের রায়ের ফলে জট অনেঅনেকটা পরিষ্কার হল ৷

আজ বিচারক পোস্টাল ডিপার্টমেন্টকে নির্দেশ দেন যে পোস্টাল বিভাগ তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে হাইমাদ্রাসা , আলিম, ফাজিল, কামিল ও এমএম পড়ুয়াদের বসার সুযোগ করে দেবে।এই ছাত্র-ছাত্রীরা পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি বেরোনো থেকে অতিরিক্ত দশ দিন সময় পাবে ফর্ম পূরণ করার।

আগামী ৬ই জুন পরবর্তী শুনানিতে পোস্টাল ডিপার্টমেন্ট ও বোর্ডকে  হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারক।

এই বিষয়ে শিক্ষাবিদ মীরাতুন নাহার বলেন-“এই শিক্ষা ব‍্যবস্থা আছে বলেই বাংলার প্রান্তিক শ্রেণীর ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করতে পারছে। একে সমূলে উৎপাটন করার একটা ষড়যন্ত্র চলেছে।যাইহোক, আজকের রায় ইতিবাচক; সুবিচারের জন্য কোর্ট তো এখনো আছে ! “

 

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here