পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
আগামী ২৯ শে এপ্রিল বীরভূম ও বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে রয়েছে ভোট গ্রহণ।আর ঠিক তার ৫ দিন আগেই শ’খানেক তৃণমূল কর্মী সমর্থক নিয়ে বাইক মিছিলে এলাকা দাপিয়ে বেড়ালো শাসকদলের কর্মী সমর্থকরা।সেই বাইক মিছিল থেকে এক কর্মী পিস্তল উঁচিয়ে এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করে বলে অভিযোগ।
ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের সাঁইথিয়া এলাকার হরিসড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে।আজ সকালে ওই এলাকায় অঞ্চল সভাপতি প্রশান্ত মন্ডলের নেতৃত্বে শ’খানেক তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বের হয় বাইক মিছিলটি।সেই মিছিলে এক তৃণমূল কর্মী এমন সন্ত্রাসের ঘটনাটি ঘটান বলে অভিযোগ।
ঘটনার কথা অঞ্চল সভাপতি প্রশান্ত মন্ডল প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে তিনি জানান, “কর্মীর হাতে বন্দুক বা পিস্তল ছিল,তবে সেটা আসল নয় খেলনা।”
অন্যদিকে ব্লক সভাপতি সাবের আলী জানান, “আজ আমরা পর্যাপ্ত অনুমতি নিয়েই বাইক মিছিলের আয়োজন করেছিলাম।বাইক মিছিল থেকে বন্দুক নিয়ে ভয় দেখানোর বিষয় আমি জানিনা।তবে এমন ঘটনা যদি ঘটে থাকে, তাহলে সেটি আমাদের দলীয় কর্মী কেউ হবে না। তৃণমূলকে বদনাম করার জন্য এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে ইচ্ছাকৃতভাবে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আজই বীরভূমে আসছেন নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক।আর এমন দিনেই জেলায় এমন সন্ত্রাসের ছবি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
বিষয়টি নিয়ে বীরভূম জেলা বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, “ভোটের মাত্র আর দিন কয়েক বাকি তার মধ্যে এইভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে তৃণমূল কর্মীরা হাতে বন্দুক নিয়ে গ্রামের পর গ্রাম বাইক মিছিল করছে, তারা মানুষদের মধ্যে ভয় দেখিয়ে বোঝাতে চাইছে যে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট না দিলে ভোটের পরে এই বন্দুকের গুলি তাদেরকে খেতে হবে,আজ এটা প্রকাশ্যে এসেছে, এ ধরনের অস্ত্র মিছিল বীরভূম জেলার বিভিন্ন গ্রামে করে বেড়াচ্ছে তৃণমূলের সন্ত্রাস বাহিনী।আজকের এই অস্ত্র মিছিল নিয়ে আমরা ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে,আমাদের বিশ্বাস নির্বাচন কমিশন এর বিরুদ্ধে সঠিক পদক্ষেপ নেবেন।”
আরও পড়ুনঃ নির্বাচনী প্রচারে হেলমেট বিহীন বাইক র্যালি
এই ঘটনার পর জেলায় কিছুটা ব্যাকফুটে জোড়া ফুল শিবির।ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে বিরোধীদের অভিযোগ শুনে পক্ষেই মত দিয়েছেন কমিশন তারপর এমন চিত্র অস্বস্তি বাড়ালো তৃণমূলের।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584