নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ
আসল নাম সাম্যময় বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকমুখে পরিচিত ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় হিসেবে। বাংলা সিনেমার হাসির প্রাণপুরুষ তিনি। তবে, শুধুই কি হাসাতে পারতেন? না, তিনি কাঁদাতে পারতেন আবার ভাবাতেও পারতেন। আসলে তিনি ছিলেন একজন ভার্সেটাইল অভিনেতা।
১৯২০ সালের ২৬ অগাস্ট ঢাকায় জন্মগ্রহণ ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কলেজে পড়ার সময় স্বদেশী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। যার জেরে দেশও ছাড়তে হয় তাঁকে। চলে আসেন কলকাতায়।
চাকরি করতেন সরকারি অফিস ‘আয়রন অ্যান্ড স্টিল কন্ট্রোল’-এ। সমানতালে চলত শখের অভিনয়। পাড়ার ‘চন্দ্রগুপ্ত’ নাটকে চাণক্য হওয়ার দৌলতে সুযোগ মেলে বিভূতি চক্রবর্তী পরিচালিত ছবি ‘জাগরণ’-এ।
এরপর একে একে তথাপি, পাশের বাড়ি, পথে হল দেখা, পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট, সাড়ে ৭৪, ভ্রান্তিবিলাস, বসু পরিবার, যমালয়ে জীবন্ত মানুষ সহ একাধিক ছবিতে কখনও কমেডি আবার কখনও সিরিয়াস চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
তাঁর নাম ব্যবহার করে ছবির নামও দেওয়া হয়- ভানু পেল লটারি, ভানু গোয়েন্দা জহর অ্যাসিস্ট্যান্ট। ভানু-জহরের যুগলবন্দি বাঙালি মনে রাখবেন চিরকাল।
হিন্দি ছবি বন্দিশ, সাগিনা, এক গাঁও কি কাহানিতেও অভিনয় করেন তিনি। ‘অচেনা মুখ’ সম্ভবত প্রবাদপ্রতীম অভিনেতার শেষ ছবি। তাঁর কণ্ঠে বহু কৌতুক নকশা রেকর্ড করা আছে গ্রামোফোনে। তা শুনে আজও একা একা হাসেন অনেকে।
আরও পড়ুনঃ ভানু একাই ১০০, নিবেদনে সুচন্দ্রা ভানিয়া
ভানুজায়া নীলিমা দেবী একবার এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন- “বাঙালি ওঁকে ভাঁড়ই বানিয়ে রাখল চিরকাল।” নীলিমা দেবীর এই কথা অস্বীকার করার সাধ্যি কারো নেই। অভিনেতার সব জঁর-এর অভিনয়শৈলীর মূল্যায়ণ হয়নি তেমন, যতটা হওয়ার প্রয়োজন ছিল।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584