নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ
তিনি মৃণাল সেন। ২০২০-র ১৪ মে মৃণাল সেনকে নিয়ে হাজারো বুলির ঝুরি বাতুলতামাত্র। তবু আজ তাঁর এই আবির্ভাব দিবসে দু’কথা না বলা মানে নিজেকে অনেকখানি পিছিয়ে দেওয়া। তাঁর পাশে দাঁড়ানোর থেকে অবশ্য পিছু পিছু হেঁটে তাঁর পথ ও পদক্ষেপ অনুসরণ করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
তিনি এক, অনন্য, অদ্বিতীয়, নিজ গুণে অসামান্য। ১৯২৩ সালের ১৪ মে ফরিদপুরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। হাইস্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলকাতায় আসেন তিনি। শহরে এসে পদার্থ বিদ্যায় স্নাতক আর তারপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। কট্টর বামপন্থী মানুষ ছিলেন মৃণাল সেন। অথচ কখনও পার্টির সদস্যপদে যোগ দেননি। কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার সাংস্কৃতিক কর্মসূচীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ কাজল মাসি আসবে সন্ধেবেলায়
মৃণাল সৃষ্ট একদিন প্রতিদিন, ভুবন সোম, খারিজ, কলকাতা ৭১, পুনশ্চ, পদাতিক দর্শক ভুলবেন না কখনও।
অমিতাভ বচ্চন প্রথম ভয়েস ওভার দেন মৃণাল সেনের ‘ভুবন সোম’ ছবিতে। ছবিটি জাতীয় পুরস্কারও পায়। এ ছাড়াও মৃণাল নির্মিত ছবি কোরাস, মৃগয়া, আকালের সন্ধানে সহ ১৬ টি ছবি জাতীয় পুরস্কার পান।
পদ্মভূষণ, দাদাসাহেব ফালকে’র মতো বহুমূল্যবান পুরস্কারগুলিও রয়েছে তাঁর ঝুলিতে।
মৃণাল পরিচালিত প্রথম বাংলা ছবি ‘রাত ভোর’ মুক্তি পায় ১৯৫৫ সালে। এর পরবর্তী ছবি ‘নীল আকাশের নীচে’। তবে, ২২ শে শ্রাবণ তাঁকে আন্তর্জাতিক পরিচিতি দেয়। আর ‘ভুবন সোম’ তাঁকে পৌঁছে দেয় খ্যাতির চুড়ায়। নামজাদা চলচ্চিত্র পরিচালক হওয়ার আগে কখনও সাংবাদিক, কখনও ওষুধ বিপণনকারী কখনও বা চলচ্চিত্রের শব্দ কলাকুশলী হিসেবে কাজ করেছেন। সুতরাং জীবনটাকে নানা রঙে দেখেছেন তিনি।
তাঁর তৈরি ‘জেনেসিস’ হিন্দি, ফরাসি এবং ইংরেজি ভাষাতেও মুক্তি পায়। শুধু বাংলা নয়, তেলুগু, ওড়িয়া, হিন্দি ভাষাতেও চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন তিনি। ১৯৯৮-২০০৩ অবধি ভারতীয় সংসদের সাম্মানিক সদস্যপদে বহাল ছিলেন তিনি। ফরাসি সরকার মৃণাল সেনকে ‘কম্যান্ডার অফ দ্য অর্ডার অফ আর্টস অ্যান্ড লেটার্স’ সম্মানে ভূষিত করে। আজ এই বিশেষ দিনে নিউজফ্রন্ট-এর তরফ থেকে রইল তাঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584