শ্যামল রায়,বর্ধমানঃ
পূর্ব বর্ধমান জেলার বাম দুর্গ হিসেবে পরিচিত ছিল মন্তেশ্বর বিধানসভা এলাকা। এই বিধানসভা এলাকায় আজ বাম নেতারা গৃহবন্দি। ভোট প্রচারে ব্যাকফুটে। জোর কদমে প্রচারে নেমে পড়েছে শাসকদল। অন্যদিকে ভোটের ময়দানে ধীরে ধীরে প্রচার সংঘটিত করছে ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মী সমর্থকরা। তবে শাসক দলের কাছেগোজ প্রার্থী নিয়ে কিছুটা হল মাথাব্যথা রয়েছে ।
কয়েকদিন আগে জেলার পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের অন্যতম মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস করা নির্দেশ জারি করেছিলেন যে গোজ প্রার্থীদের লিফলেট বিলি করে তৃণমূলের পক্ষে প্রচার করতে হবে। তাই যদি না হয় তাহলে তৃণমূল থেকে তাদেরকে বহিষ্কার করা হবে। কিছুটা হলেও কাজ হয়েছে। মন্তেশ্বর একদা তৃণমূলের নেতা দেবব্রত রায়ের বিপক্ষে প্রার্থী হয়েছিলেন তৃণমূলের শিশির মন্ডল। দুই জুজু বান নেতার ভোট তরজায় গোষ্ঠী কোন্দল প্রবল আকার ধারণ করেছিল। জেলার পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাসের করা নির্দেশের ফলে দুই ব্যাক্তি ফের একসাথে তৃণমূলের পক্ষে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন নির্দল প্রার্থী শিশির মন্ডল।
তবে এখনো বহু গোজ প্রার্থী তৃণমূলের বিপক্ষেই প্রচার অভিযান চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
আর মাত্র তিন দিন পরে ভোট।
ইতিমধ্যে মন্তেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় ১৩ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা১৭৬টি। এরমধ্যে ১২১টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছে তৃণমূলের প্রার্থীরা। পঞ্চায়েত সমিতির আসন সংখ্যা ৩৬টি। এরমধ্যে তৃণমূলের প্রার্থীরা জয়লাভ করে ফেলেছে ২২টিতে। জেলা পরিষদের তিনটি আসনেই ভোট হচ্ছে।
আরও জানা গিয়েছে যে গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭৬ টি আসনের মধ্যে সিপিএম প্রার্থী দিয়েছে মাত্র ২৫ টি তে।
পঞ্চায়েত সমিতির ৩৬টি আসনের মধ্যে সিপিআইএম প্রার্থী দিয়েছে ৮টিতে।।
তাই এক সময়ের বাম দুর্গ হিসেবে পরিচিতি মন্তেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় সিপিআইএমের দৈন্যদশা আগে কখনো নজরে পড়েনি। যদিও সিপিএম নেতাদের অভিযোগ যে শাসকদলের বাধা হুমকি সন্ত্রাসের কারণ এই সিপিএমের প্রার্থী হতে পারেনি কেউ। যদিও এ কথা মানতে নারাজ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আজিজুল হক জানিয়ে দিয়েছেন যে মন্তেশ্বর বিধানসভা এলাকায় দৈন্যদশা শুধু সিপিএমের নয় বিজেপির অবস্থাও তাই। তিনি আরো জানিয়ে দিয়েছেন যে এখানে সিপিআইএম কোমায় চলে গিয়েছে। পায়ের নিচে মাটি সরে যাওয়ার কারণে প্রার্থী খুঁজে পায়নি তাই মিথ্যা অপপ্রচার করছে সন্ত্রাসের কথা বলে। মন্তেশ্বর এর মানুষ উন্নয়ন কাকে বলে চোখে দেখছেন আর উন্নয়নের সঙ্গে সাথী হিসাবে থাকতে চান। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে সামিল হতেই আমাদের প্রার্থীদের ভোট দেবেন এলাকার মানুষ। তবে তিনি জোর গলায় জানিয়ে দিয়েছেন যে আমাদের এখানে কোন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই।
তবে সিপিআইএমের প্রাক্তন বিধায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ হেদায়েতুল্লাহ চৌধুরী জানিয়ে দিয়েছেন যে মানুষ আমাদের সঙ্গে আছেন শুধুমাত্র শাসক দলের সন্ত্রাস হুমকি প্রাণনাশের ভয়ে সামনে এসে দাঁড়াতে সাহস পাননি। গণতন্ত্র নামে সন্ত্রাসী রাজত্ব চলছে মন্তেশ্বরে।
ফিচার ছবি সংগৃহীত
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584