নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ
‘শিশির অধিকারী ও সৌমেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে আমার জানা নেই। তবে, তাঁরা সমর্থন করেছেন’, মঙ্গলবার এক সাংবাদিক বৈঠকে এমনই দাবি করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কিছুদিন আগে মুকুল রায়ের ফুলবদল করা নিয়ে দলত্যাগবিরোধী আইন প্রয়োগ করতে উদ্যোগী গেরুয়া শিবির। আর এরইমধ্যে সাংসদ শিশির অধিকারীকে নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন দিলীপ ঘোষ। স্বভাবতই তার এই মন্তব্যকে ঘিরে চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
আজ মঙ্গলবার এক সাংবাদিক বৈঠকে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেন যে, শিশির অধিকারী ও সৌমেন্দু অধিকারীর ক্ষেত্রে কি এই আইন প্রযোজ্য হবে? তার উত্তরেই এই মন্তব্য করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুনঃ ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মমতাকে কড়া চিঠি রাজ্যপালের
উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় অমিত শাহের মঞ্চে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বর্ষীয়ান নেতা শিশির অধিকারী। স্বাগত জানিয়েছিলেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। যোগদানের পর শিশির অধিকারী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘অমিত শাহকে বলেছি, অত্যাচারীদের হাত থেকে বাংলাকে বাঁচান। আমরা আপনাদের পাশে রয়েছি। আমার পরিবার আপনাদের পাশে রয়েছে।’ জয় শ্রীরাম ও জয় ভারত স্লোগান দিতেও শোনা যায় শিশিরকে। তবে একুশের ভোট প্রচারে সক্রিয় ভাবে দেখা যায়নি তাকে। অপরদিকে বাংলায় ভোট প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকে।
মুকুল রায় প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জানান, ‘তিনি সিনিয়র একজন নেতা। মানুষ আসা নিয়ে তাকে ভোট দিয়েছিলেন। তবে দল যখন ছেড়েছেন, বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফাও দেওয়া উচিত। গণতন্ত্রকে রক্ষা করতেই দলত্যাগ বিরোধী আইন। আর এটা সংবিধান স্বীকৃত।’ পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘কিছুজন ভেবেছিলেন ক্ষমতার সঙ্গে থাকবেন। ক্ষমতায় আসেনি, তাই তারাও সঙ্গে থাকছেন না। আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাব। কর্মীরা আমাদের পাশে রয়েছেন।’
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584