পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ
দুই বিজেপি সদস্য যোগ দেওয়ায় মহম্মদবাজার ব্লকের রামপুর পঞ্চায়েতের দখল নিল তৃণমূল কংগ্রেস।পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি ও তৃণমূলের তিনজন করে সদস্য জয়ী হন। তারপর থেকে এই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন স্থগিত ছিল।পঞ্চায়েত কার দখলে যাবে এনিয়ে নানান জল্পনা চলছিল।বিজেপি তাদের জয়ী প্রার্থীদের ঝাড়খণ্ডে নিয়ে গিয়ে রেখেছিল।কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। অবশেষে দুই বিজয়ী বিজেপি প্রার্থীকে দলে টানতে সক্ষম হল তৃণমূল।বীরভূমের মহম্মদবাজার ব্লকের রামপুর পঞ্চায়েতে ৬টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ৩টি ও বিজেপি ৩টি আসনে জয়ী হয়। বিজেপি-র অভিযোগ, প্রার্থীদের দলে টানার জন্য তৃণমূল হুমকি ও প্রলোভন দেয়।এই পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের জন্য তিনবার দিন ধার্য করে প্রশাসন। কিন্তু, কেউ না আসায় স্থগিত ছিল বোর্ড গঠন। নির্বাচনের পর থেকে নির্দিষ্ট সময়ে বোর্ড গঠন না হওয়ায় প্রশাসক বসিয়েই চলছিল পঞ্চায়েতের কাজকর্ম।আজ বোলপুরে তৃণমূল দলীয় কার্যালয়ে বিজেপি-র সুলতা কোরা ও যপন মুখোপাধ্যায় তৃণমূলে যোগ দেন।ফলে পঞ্চায়েতের ৬ টি আসনের মধ্যে ৫ টি আসন তৃণমূলের দখলে আসে।রামপুরহাটে সভা করতে এসে এই প্রসঙ্গে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “পুলিশ দিয়ে মিথ্যা কেস দেওয়া হচ্ছে আমাদের লোককে। আমাদের লোককে ভাঙিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল।”
আজ নতুন দুই সদস্যের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি বিকাশ রায়চৌধুরি। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর তারা জানান, রামপুরের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি রাকেশ মণ্ডলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ায় তারা বিজেপি-র প্রতীকে নির্বাচনে লড়েছিলেন।তবে তাঁকে সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ায় তাঁরা আবার তৃণমূলে ফিরেছেন।এ বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরি বলেন,”ওরা আমাদের দলেরই কর্মী ছিল।দলের কয়েকজনের সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ায় চলে গেছিল।ফের তৃণমূলে ফিরে এল।”
আরও পড়ুন: তৃনমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত আমডাঙরা
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584