নিজস্ব সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ারঃ
উত্তরবঙ্গের মানুষেরা বিজেপিকে বিশ্বাস করেছেন, আমরা সেই বিশ্বাসের মর্যাদা রাখছি। ক্ষমতায় না থেকেও উত্তরবঙ্গের উন্নয়নে ছোট বড়ো বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে। হাইওয়ে নির্মাণ হয়েছে। জলপাইগুড়িতে মেডিকেল কলেজ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জলপাইগুড়িতে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন করেছেন। বুধবার আলিপুরদুয়ারের জটেশ্বরে কর্মীসভার পর সংবাদ মাধ্যমে এই কথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
এদিন সাংবাদিকদের কাছে চা বাগান সমস্যা সমাধানে রাজ্য সরকারকে দোষারোপ করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকারের সহযোগীতা ছাড়া চা বাগান সমস্যার সমাধান করা যায় না। কেন্দ্রীয় শিল্প বাণিজ্যমন্ত্রী যখন নির্মলা সিতারমন, তখন তিনি, তিন তিনবার ডুয়ার্সে এসে বৈঠক করেছেন। আইনি জটিলতার কারণে সেই সমস্যার সমাধান করা যাচ্ছে না। আসামে সাড়ে তিনশো টাকা মজুরি পাচ্ছেন শ্রমিকরা। আর এখানে ১৭০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০২ টাকা করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ সিলিন্ডারে আগুন, আতঙ্ক ফালাকাটায়
তাও কেন্দ্র সরকার বাড়ানোর পর। ১০০ চা বাগান বন্ধ রয়েছে। সেই চা শ্রমিকরা খুব দুঃখ কষ্টে দিনযাপন করছেন। কেন্দ্রীয় সরকার তাদের জন্য রেশনের ব্যবস্থা করেছে।” এদিন মুখ্যমন্ত্রীর রেশন নিয়ে ঘোষণাকেও কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ।
তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী সারা জীবন ফ্রিতে রেশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। তার পরে মাথা পিছু ৫ কেজি থেকে কমিয়ে তা ১ কেজিতে নামিয়ে আনা হয়েছে। এভাবে রাজনীতি হয় কিন্তু মানুষের সমস্যার সমাধান হয় না।” পাহাড় সমস্যা নিয়েও বিজেপি লাগাতার আলোচনা চর্চা করছেন বলে জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি বলেন, “রাজ্যের সর্বত্র আমাদের দলের নেতা কর্মীদের বাধা দিচ্ছে প্রশাসন। আমি নিজে সাংসদ। উন্নয়নের প্রজেক্ট তৈরি করে জমা দিয়ে রেখেছি। দেড় বছর হয়ে গেল জেলা শাসক আমাকে ডাকছেন না। এ কোন রাজ্যে বাস করছি আমরা।”
আরও পড়ুনঃ কতটা নিরাপদ রাশিয়ার ভ্যাকসিন? পরীক্ষা করার কথা বললেন এইমস ডিরেক্টর
এদিন সাংবাদিকরা উত্তরবঙ্গকে সুইজারল্যান্ড বানানোর, মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির প্রসঙ্গ তুললে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমরা সুইজারল্যান্ড, গোয়া কোন কিছুই বানাবো না। আমরা এই বাংলাকে সোনার বাংলা তৈরি করবো। বাংলার শিক্ষা, সংস্কৃতি ঐতিহ্যকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবো আমরা।”
এদিন জটেশ্বরের সুকান্ত ভবনে আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার দুই জেলার নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন দিলীপ ঘোষ। প্রথমের দফায় কোচবিহারের নেতাদের নিয়ে বৈঠক হয়। পরে আলিপুরদুয়ারের জেলা নেতাদের নিয়ে বৈঠক হয়। দুই জেলার জেলা সভাপতি ও অন্যান্য নেতারা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584