উজ্জ্বল দত্ত, কলকাতাঃ
রবিবার সকালে ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে বের হয়ে দুই সাংসদ শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী বিজেপি-তে আসছেন কিনা তা খোলসা করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিধানসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করতে এগিয়ে আসছেন বিধায়ক থেকে সাংসদরা।
ইতিমধ্যেই শিবির বদলে ঘাসফুল থেকে পদ্মফুলে নাম লিখিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়,শীলভদ্র দত্ত, সুনীল মন্ডল, বৈশালী ডালমিয়া, দীপক হালদার, রথীন চক্রবর্তী প্রমুখ। দাদা শুভেন্দুর হাত ধরে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন ভাই সৌমেন্দু অধিকারীও। এখন প্রশ্ন, বাবা শিশির অধিকারী ও আরেক সাংসদ ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীকে নিয়ে। একের পর এক মুখ্যমন্ত্রীর সভায় অনুপস্থিত দুজনে। দেখা মিলছে না দলীয় কর্মসূচিতেও। তবে তাঁরাও কি এবার বিজেপিতে? শুভেন্দুর দলবদলের পর থেকেই এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। ইতিমধ্যেই একসঙ্গে ৭টি প্রশাসনিক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন দিব্যেন্দু। জোর জল্পনা চলছে তাঁদের দুজনকে নিয়ে।
তাঁদের যোগদান প্রসঙ্গে মুখ খুললেন স্বয়ং দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন,”শিশির অধিকারী, দিব্যেন্দ্যু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করছে বলে আমার এখনও জানা নাই। যোগদানের প্রশ্নও নেই।” উল্লেখ্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তোপ দেগেছেন, শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলে থাকাকালীন দল ভাঙার চেষ্টা করেছে। এই নিয়েও এদিন কড়া প্রতিক্রিয়া দেন দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুনঃ প্রধানমন্ত্রীর সভা ঘিরে তৎপরতা গেরুয়া শিবিরে
এদিন মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, ‘আমরাও তো ৬ বছর ধরে শুনছিলাম, শুভেন্দু অধিকারী আসবেন বলে! তারপরও আসেননি। তাঁর সঙ্গে যা ইচ্ছা তাই করেছে তৃণমূল। তাঁর পরিবারের সঙ্গেও। পার্টিকে দাঁড় করানোর পরেও। কে বের করেছে? তাঁর বাবাকে কে বের করেছে? ওরা কোনও যোগ্য লোককে পার্টিতে থাকতে দেবে না। কারণ ওটা প্রাইভেট প্রপার্টি, কোম্পানি।
কোনও যোগ্য ব্যক্তি, ভদ্রলোক থাকতে পারবেন না! শুভেন্দু অধিকারী না হয় চলে গিয়েছেন। কিন্তু বাকিরা কেন চলে যাচ্ছেন? ওই পার্টিতে কোনও গণতন্ত্র নেই। কার্যকর্তাদের কোনও অধিকার নেই। মান-সম্মান নেই। তাই তাঁরা বিকল্প খুঁজছেন। উন্নয়নের স্বার্থে ভারতীয় জনতা পার্টির পতাকার তলায় আসছেন।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584