পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
‘তৃণমূলের সঙ্গে মানুষ নেই।তাই এই যাত্রা তাদের শবযাত্রা হবে। ভিটেতে বাতি দেওয়ার লোক খুঁজে পাবে না।’আজ সাংবাদিক বৈঠকে নাম না নিয়ে এই ভাষাতেই তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর দলকে হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি-র রাজ্য সহ সভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরি।
তিনি আরও বলেন, “বীরভূম জেলায় রথ ১৪ তারিখ বেরোবে।যে কোনও মূল্যে আমাদের রথ বেরোবে।” আজ রথযাত্রার প্রস্তুতি সংক্রান্ত একটি বৈঠক করেন বিজেপি নেতারা।পরে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গাড়িতে হামলার প্রতিবাদে সিউড়ি বাসস্ট্যান্ডের কাছে সিউড়ি-বোলপুর রোডে প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ করেন বিজেপি-র নেতা কর্মীরা।১৪ ডিসেম্বর তারাপীঠ মন্দির সংলগ্ন এলাকা থেকে বি.জে.পি-র রথযাত্রার সম্ভাব্য কর্মসূচি তৈরি করা হয়েছে। যাত্রার সূচনা করার কথা বি.জে.পি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ (হাইকোর্ট এখনও পর্যন্ত রথযাত্রার অনুমোদন দেয়নি)। তারাপীঠ থেকে রথ বেরোনোর পর রামপুরহাটে সভা করার কথা রয়েছে।চারদিন বীরভূমের নলহাটি, মুরারই, মল্লারপুর, সাঁইথিয়া, সিউড়ি হয়ে বোলপুরে ঢুকবে রথ।চারদিনের দিন বোলপুর থেকে সভা করে বর্ধমানের দিকে রওনা দেবে রথ।আজ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বি.জে.পি-র রাজ্য সহ সভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরি, জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়, সম্পাদক কালোসোনা মণ্ডল সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরি বলেন, “বীরভূম জেলায় রথ ১৪ তারিখ বেরোবে। যে কোনও মূল্যে আমাদের রথ বেরোবে এবং সভা হবেই। এটি গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা, এই যাত্রা রোধ করার ক্ষমতা কারোর নেই। আজ আমরা ফাইনালি বসেছিলাম, খুঁটিনাটি সব আলোচনা করলাম।” এরপরেই সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বিশ্বপ্রিয়বাবু তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নাম না করে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “কেউ কেউ খোল করতাল বিলি করেছে শুনলাম। খোল করতাল বাজিয়ে কখন যায়? এক হরিনাম করতে, আর শবযাত্রায় বেরোয়। তৃণমূলের সঙ্গে মানুষ নেই। তাই এই যাত্রা তাদের শবযাত্রা হবে। ভিটেতে বাতি দেওয়ার লোক খুঁজে পাবে না।তাই কীভাবে রথ আটকানো যায়, তার জন্য নানান কৌশল এই সরকার করছে। আবারও এই সরকারের মুখ পুড়বে৷”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584