নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
নন্দীগ্রাম-সিঙ্গুরের মানুষদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী কি করেছেন? খালি ভোটের সময় তাদের ব্যবহার করা হয়েছে, মেদিনীপুরে দলীয় কর্মসূচিতে এসে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে এমনই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু।
প্রসঙ্গত, ইতিপূর্বে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে দিলীপ ঘোষ সহ রাজ্য বিজেপিকে নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সায়ন্তন বসু বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর ব্রেনোলিয়া খাওয়া দরকার।
তিনি ভুলে গিয়েছেন তৎকালীন সময়ে লালকৃষ্ণ আদবানীর সহায়তায় তিনি নন্দীগ্রাম সিঙ্গুর আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন, সিঙ্গুরের প্রতিবাদ মঞ্চে রাজনাথ সিংয়ের আসার কথাও ফের একবার স্মরণ করিয়ে দেন রাজ্য বিজেপির এই হেভিওয়েট নেতা। ২০২১ -এর নির্বাচনকে মাথায় রেখে তার প্রতিশ্রুতি, ক্ষমতায় এলে নন্দীগ্রাম সিঙ্গুরের মানুষের জন্য কাজ করবে বিজেপি। একদিকে শিল্প হবে অন্যদিকে কৃষকরাও বাঁচবে বিজেপির সরকার এলে।
আরও পড়ুনঃ রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ অভিভাবকদের
অন্যদিকে রাজ্যে গণতন্ত্র নেই বলেও দাবি করেন সায়ন্তন বসু। “উত্তর কোরিয়ার শাসকের মাসতুতো বোন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তারা একই গোত্রের তাই গণতন্ত্র মানে না”, ঠিক এই ভাষাতেই মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক।
রাজ্য – রাজ্যপাল সংঘাত নিয়েও রাজ্যের শাসক শিবিরকে আক্রমণ করেন সায়ন্তন বসু। তিনি বলেন রাজ্যপালকে দেখলেই জেলার ডিএম, এসপিরা পালিয়ে যান, ভয়ে সরকারি আধিকারিকরা রাজভবনেও জাননা বলে দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ বহরমপুর কনটেইনমেন্ট জোন পরিদর্শনে জেলা পুলিশ সুপার
অন্যদিকে কেশিয়াড়িতে দলীয় সভায় যোগ দিতে যাওয়ার আগে মেদিনীপুর শহরে তিনি ফের একবার দাবি করেন, রাজ্য দাঁড়িয়ে রয়েছে বারুদের স্তুপের উপর।
বীরভূম, মালদহর উদাহরণ টেনে তিনি বলেন পশ্চিমবঙ্গ বারুদের কেন্দ্রস্থল! অবিলম্বে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ করা উচিত। সবমিলিয়ে মেদিনীপুরে এসে একের পর এক ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন বিজেপির এই হেভিওয়েট নেতা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584