পশু নয়, নিজের সন্তানকে কুরবানি দেওয়ার ফতোয়া বিজেপি নেতার

0
104

নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ

১ আগস্ট বিশ্বজুড়ে পালিত হবে ইদ-উদ-জ্জোহা। ইদ উপলক্ষ্যে কুরবানিতে যে পশুহত্যা করা হয়, তা নিয়ে সরগরম উত্তরপ্রদেশের রাজনীতি। গাজিয়াবাদের লোনি কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক নন্দকিশোর গুর্জর-এর দাবি, “করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এ বছর ইদে পশুবলি দেওয়া উচিত নয় মুসলিমদের। আর যদি কুরবানি দিতেই হয়, তাহলে নিজের সন্তানকে বলি দিন। নিরীহ পশুগুলিকে মারবেন না।”

Nandkishor Gurjor | newsfront.co
উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সাথে নন্দকিশোর গুর্জর। ফাইল চিত্র

বিজেপি বিধায়কের এহেন মন্তব্য ঘিরেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিজেপি নেতার এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে সমাজবাদী পার্টিও। বিজেপির ওই বিধায়ক নিজের অনুগামীদের বলেছিলেন, “সনাতন ধর্মে এখন আর বলি দেওয়া হয় না। যেভাবে নারকেল ফাটিয়ে আমরা বলিদানের রীতি পালন করি। সেভাবেই মুসলিমদের আমি বলব, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবছর কুরবানি বন্ধ রাখুন। নিরীহ পশুগুলিকে মারবেন না। ইদে কাউকে কুরবানি দিতে দেখা গেলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে যদি কেউ ভেবে থাকেন, ইদে কুরবানি দিতেই হবে। তাহলে ইদ-উদ-জ্জোহা’তে নিজের প্রিয় জিনিস, নিজের সন্তানকে বলি দিন। আমাদের কোনও আপত্তি নেই।”

আরও পড়ুনঃ লকডাউনে তিন মাসে ১০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা! নজিরবিহীন বললেন স্মৃতি

বিজেপি নেতার এই বক্তব্যের প্রতিবাদ করতে গিয়ে আবার আরেকটি বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ সইফুর রহমান। তিনি আবার বলছেন, “কোনও শক্তিই মুসলিমদের নমাজ পড়ার অধিকার কেড়ে নিতে পারবে না। বকরি ইদে আমরা বাজারেও যাব। কুরবানিও দেব।”

উল্লেখ্য, ইদ-উদ-জ্জোহা বা বকরি ইদ নামে খ্যাত মুসলিম সম্প্রদায়ের এই অনুষ্ঠান গোটা বিশ্বজুড়ে পালন করা হয়। রমজান মাসের পর যে ইদ-উল-ফিতর হয় তার প্রায় দুমাস বাদে হয় এই অনুষ্ঠান। ইদ-উদ-জ্জোহা বিভিন্ন দেশে ভিন্ন নামে পরিচিত হলেও সব জায়গাতেই পশুবলি দিয়ে পালন করা হয় এই অনুষ্ঠানটি।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here