নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্ট:
নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই আক্রমণ নেমে আসছে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ওপর -এমনটাই দাবি বিজেপির। তার পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকদফা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলও রাজ্যে ঘুরে গিয়েছে, আক্রান্ত কর্মীদের বাড়িতে গেছেন জেপি নাড্ডা নিজেও। এরপরে বড় সিদ্ধান্ত নিলো কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, ৭৭ জন বিজেপি বিধায়ককেই দেওয়া হবে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা এমনটাই ঘোষণা করা হলো। এমনকি পরাজিত হয়েছেন যেসব বিজেপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাড়ানো হতে পারে তাঁদেরও ।
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর রাজনৈতিক সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ জন। তার মধ্যে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মী যেমন রয়েছেন, তার পাশাপাশি মৃত্যু হয়েছে আইএসএফ কর্মীরও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই নিহতদের পরিবারের জন্য আর্থিক সহায়তা ও চাকরির ঘোষণা করেছেন।
তবে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে বাংলায় নির্বাচন পরবর্তী রাজনৈতিক সংঘর্ষের পরিস্থিতিতে তাদের কর্মী সমর্থকরাই আক্রান্ত হচ্ছেন, লাগামছাড়া সন্ত্রাস চালাচ্ছে শাসকদল। রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য মেনেই বিজেপি বিধায়কদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও বিধায়করা রাজ্যের নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন কিন্তু রাজনৈতিক সংঘর্ষের কথা বিবেচনা করেই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এমনটাই সূত্রের খবর।
রাজ্যে ভোট প্রক্রিয়া শুরুর আগেই বেশ কয়েকজন বিজেপি প্রার্থীকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দিয়েছিল বিজেপি নেতৃত্ব কিন্তু, ভোট পরবর্তী পরিস্থিতিতে ৭৭ জন বিধায়কের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই তাঁদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে কোনও বিধায়ক যদি নিরাপত্তা নিতে না চান, সেক্ষেত্রে তিনি না নিতেই পারেন। তবে জানা গিয়েছে , কোন বিধায়কই নিরাপত্তা নিতে আপত্তি করেননি।
বিজেপির পক্ষ থেকে মোট ২৯৩টি আসনের প্রার্থীদের যে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল, তা ১০ মে প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দলের রাজ্য নেতৃত্ব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে আবেদন জানায়, এখনই তাদের নিরাপত্তা প্রত্যাহার না করার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজ্য নেতৃত্বের সেই আবেদন মেনে নিয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
তবে এনিয়ে প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে, অনেকেই বলছেন করদাতাদের টাকায় দেশের ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির মধ্যে শুধুমাত্র কয়েকজন বিধায়কের নিরাপত্তায় এই বিপুল পরিমাণ আর্থিক ব্যয়ভার বহন করা কতটা যুক্তিসঙ্গত! এছাড়াও বিজেপির কিছু কিছু কর্মী সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন যদি আক্রান্ত হন কেউ তা হচ্ছেন দলের সাধারণ কর্মীরা, সেক্ষেত্রে নেতাদের নিরাপত্তা বাড়িয়ে কর্মীদের একই বিপদের মধ্যে রেখে দিচ্ছে দল, কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে কি তবে দলের কোনো ভাবনাই নেই!
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584