নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
“যাঁরা আসল দেশভক্ত তাঁরা হেমন্ত কারকারেকে দেশভক্ত বলেন না।”, ফের বিতর্কিত মন্তব্য করলেন ভোপালের বিজেপি সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর। মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন প্রজ্ঞা ঠাকুর, সেই মামলারই তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন আইপিএস হেমন্ত কারকারে। এই মামলার তদন্তে নেমে প্রজ্ঞা ঠাকুরকে গ্রেপ্তারও করে পুলিশ।
প্রজ্ঞার অভিযোগ, তাঁর এক আচার্য-র ওপর ওই মামলায় অত্যাচার চালান হেমন্ত কারকারে। ১৯৮২ ব্যাচের আইপিএস অফিসার হেমন্ত কারকারে ছিলেন মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাস-দমন শাখার প্রধান । ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ে জঙ্গি হামলায় বিজয় সালসকার, অশোক কামতে এবং হেমন্ত কারকারের মৃত্যু হয়। মুম্বাই হামলায় শহীদ হওয়া এই দক্ষ পুলিশ অধিকারিককে ২০০৯ সালে ২৬ জানুয়ারি মরণোত্তর অশোকচক্র সম্মানে ভূষিত করা হয়।
এর আগে ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মালেগাঁও-এ একটি মসজিদের বাইরে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। সেই বিস্ফোরণের মামলার তদন্তে সন্ত্রাস দমন শাখার প্রধান হিসেবে নেতৃত্ব দেন হেমন্ত কারকারে । মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুর। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পরে ২০১৬ সালে মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় প্রজ্ঞা ঠাকুরকে ক্লিনচিট দেয় এনআইএ। ভোপালের বিজেপি সাংসদ এর আগেও একাধিকবার হেমন্ত কারকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন যে জেলের ভেতর কারকারের নির্দেশেই অত্যাচার করা হয়েছে তাঁর ওপর।
আরও পড়ুনঃ দুদিনের প্যারোল মঞ্জুর অখিল গগৈয়ের, শুধুমাত্র পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি
হেমন্ত কারকারে প্রসঙ্গে আবার একই রকম বিতর্কিত মন্তব্য করতে শোনা যায় এই বিজেপি সাংসদকে। শুক্রবার সংবাদসংস্থা এএআই একটি ভিডিও টুইট করে। সেই ভিডিয়োয় বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরকে বলতে শোনা যায়, “১৯৭৫ সালে এক জরুরি অবস্থা কার্যকর হয়েছিল। আর একবার জরুরি অবস্থা কার্যকর হয়েছিল ২০০৮ সালে। যেদিন ২০০৮ সালের মালেগাঁও বিস্ফোরণের মামলায় সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরকে পাকড়াও করা হয়েছিল। আমি নিজেই সেই পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলাম, দেখেছিলাম, শুনেছিলামও।”
এরই সঙ্গে তিনি যোগ করেন আরেকটি বিতর্কিত মন্তব্য,”যাঁরা আসল দেশভক্ত, তাঁরা হেমন্ত কারকারেকে দেশভক্ত বলেন না।” এবারে বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুরের অভিযোগ,তিনি যে আর্চাযের কাছে অষ্টম শ্রেণিতে পড়েছিলেন, তাঁর উপর হেমন্ত কারকারে অত্যাচার চালিয়েছিলেন। জেলের ভেতরে অত্যাচারের অভিযোগে এর আগেও কারকারের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন সাধ্বী প্রজ্ঞা।
আরও পড়ুনঃ সফল হল ভারতে তৈরি ‘পিনাকা’ রকেটের উৎক্ষেপণ
সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের টুইট করা ২০১৯ সালের একটি ভিডিয়োয় বিজেপির এই সাংসদকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “আমি হেমন্ত কারকারকে ফোন করে বলেছিলাম আমার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ না থাকলে আমাকে ছেড়ে দিন। উত্তরে উনি বলেছিলেন, উনি প্রমাণ নিয়ে আসবেন কিন্তু আমায় ছাড়বেন না। আমি বলেছিলাম, আপনি ধ্বংস হয়ে যাবেন।” এবারে তাঁর মন্তব্য, যাঁরা সত্যিই দেশভক্ত তাঁরা হেমন্ত কারকারেকে দেশভক্ত বলে স্বীকার করেন না।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584