নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ
হঠাৎই বিজেপি মহিলা মোর্চার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বেশকিছু শাড়ির ছবি পাঠালেন মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। কিন্তু কেন? তাহলে কী রাজনীতির মঞ্চে শাড়ির বিজ্ঞাপন করতেই শাড়ির ছবি শেয়ার করলেন গেরুয়া শিবিরের নেত্রী? এ নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
বিষয়টা জল ঘোলা করতে শুরু করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল। যদিও সে সব কথা কানে তুলতে নারাজ অগ্নিমিত্রা। তাঁর কথায়, ‘ইউনিফর্ম সামঞ্জস্য আনে, পার্থক্য দূর করে। এর একটা আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। স্কুলপড়ুয়া, নিরাপত্তারক্ষী থেকে শুরু করে দেশের প্রতিরক্ষার দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন তাঁদেরও নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম রয়েছে।’
বিজেপির মহিলা কর্মীদের জন্য বিশেষ ডিজাইনার শাড়ি তৈরি করিয়েছেন ফ্যাশন ডিজাইনার ও বিজেপি মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। সেই শাড়ির ছবিই ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাঠিয়েছিলেন বলে জানান বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী।
আরও পড়ুনঃ শিলিগুড়িতে সেফ হোম পরিদর্শনে পর্যটনমন্ত্রী
স্বাভাবিকভাবেই পদ্মশিবিরের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা এই শাড়িগুলিতে রয়েছে বিশেষ নকশা। প্রতিটি শাড়িতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে দলীয় প্রতীক পদ্মফুলের নানা আকারের ছবি। দু’ধরনের রঙের কাজ রয়েছে শাড়িগুলিতে। হালকা ধূসর জমিনে একটি শাড়িতে রয়েছে কমলা ও কালো রঙের কাজ, আরেকটি করা হয়েছে কমলা ও সবুজ রঙে।
বিখ্যাত ডিজাইনারের এই অভিনব উদ্যোগকে ঘিরে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি দলের ভেতর শাড়ির ব্যবসা শুরু করেছেন। বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে চলছে দরদামও। তৃণমূলের তাপস রায় কটাক্ষ করে বলেন, ‘অগ্নিমিত্রা যে কাজে ভাল তিনি সেটাই করছেন।
যদিও এই ইউনিফর্মের চটকদারিতে বাংলায় বিশেষ কিছু লাভ হবে না বিজেপির।’ কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী অগ্নিমিত্রার নাম না করে বলেন, ‘এ ধরনের লোকজন রাজনৈতিক দলকে নিজের ব্যবসার স্বার্থেই ব্যবহার করেন।’
আরও পড়ুনঃ সাংসদ তহবিলের টাকাও তছরুপ করেছে জেলা প্রশাসন, বুনিয়াদপুরে অভিযোগ সায়ন্তনের
অগ্নিমিত্রা পালের কথায়, “২৩ বছরের কেরিয়ারে বহু পোশাক ডিজাইন করেছি। আমার তৈরি একটা রুমালেরও হয়তো ওর চেয়ে দাম বেশি। তাই সামান্য ২৮০ টাকা দিয়ে শাড়ি বিক্রির বিজ্ঞাপনের আমার প্রয়োজন নেই।” তিনি আরও বলেন, “আসলে কলকাতার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা করোনা আবহে মাস্ক তৈরি করে অর্থ উপার্জন করছে।
তাই আমাকে দলের তরফেই বলা হয় যদি শাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে আমি তাদের ডিজাইন দিয়ে সাহায্য করতে পারি। সেক্ষেত্রে যেমন দলের একটা ইউনিফর্মও তৈরি হবে, তেমনই ওই সংস্থার হাতেও কিছু অর্থ যাবে।” অগ্নিমিত্রা পাল এও জানান, যে ওই সংস্থাটি তাঁকে বেশ কিছু শাড়ি পাঠিয়েছিল।
তারই ছবি তিনি পাঠিয়েছিলেন গ্রুপে। এমনকী যাঁরা কিনতে আগ্রহী, সেগুলো কোথা থেকে কেনা যাবে, তাও জানিয়ে দিয়েছিলেন গ্রুপেই। এর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে শাড়ির বিজ্ঞাপনের কোনও সম্পর্ক নেই।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584