উজ্জ্বল দত্ত, কলকাতাঃ
শোভনদের মিছিল আটকাতে আটোসাটো ব্যবস্থা নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। তা সত্ত্বেও রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন,’পুলিশের অনুমতি ছাড়াই মিছিল হবে। সরকার নিজেই কোনো নিয়মে তোয়াক্কা করে না। তাই পুলিশের অনুমোদন হীন মিছিল আমরা করবই।’ রবিবার রাত দুটো পর্যন্ত শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটে বৈঠক করে বিজেপি নেতারা মিছিল হবার পক্ষেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে মিছিল আটকাতে ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশও। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে মিছিল হলে পুলিশও প্রস্তুত থাকবে। ডিসি পোর্ট জাফর আজমল কিদওয়াইয়ের নেতৃত্ব ব্যাপক সংখ্যায় ফোর্স সেখানে মোতায়েন থাকবে। পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। প্রয়োজন পড়লে জলকামানও ব্যবহার হতে পারে। সবমিলিয়ে বিজেপির মিছিলকে কেন্দ্র করে সপ্তাহের শুরুর দিনই কলকাতা অশান্ত-উত্তপ্ত হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ২০২০-তে নারী নির্যাতনের রেকর্ড অভিযোগ! বেশিরভাগই গার্হস্থ্য হিংসা, শীর্ষে যোগী রাজ্য
কলকাতা পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পাওয়ার পর আজই প্রথম পথে নামার কথা বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের । শোভন-বৈশাখীর নেতৃত্বে মিছিল হওয়ার কথা থাকলেও, ‘ব্যক্তিগত কারণে’ আজকের মিছিলে থাকতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেল ৩টেয় ১৪ নম্বর অরফানগঞ্জ রোড থেকে মিছিল শুরু হওয়ার কথা।
বিজেপি প্রস্তাবিত রুট অনুযায়ী মিছিল তারপর ডিএইচ রোড, মোমিনপুর ক্রসিং, মাঝেরহাট, তারাতলা, নিউ আলিপুর পেট্রল পাম্প, টালিগঞ্জ সার্কুলার রোড, টালিগঞ্জ ফাঁড়ি, ডিপিএস রোড, এসপিএম রোড, রাসবিহারী ক্রসিং, হাজরা মোড়, জহরলাল নেহেরু রোড, পার্ক স্ট্রিট, কে সি দাস মোড়, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ হয়ে ৬, মুরলীধর সেন লেনে রাজ্য বিজেপি সদর দফতরে শেষ হওয়ার কথা। বাইক, টাটা এসি, প্রাইভেট গাড়ি, হুডখোলা জিপ প্রভৃতি নিয়ে মোট ৭০-৮০টি গাড়ি ও ৭০০-৮০০ বাইকের এই মিছিলে অংশ নেওয়ার কথা।
আরও পড়ুনঃ সরকার-কৃষক সপ্তম দফার বৈঠক আজ, দাবি আদায়ে অনড় কৃষকেরা
এখন ‘এত বড় রুট, এত গাড়ি, এত মানুষ’, এই যুক্তিতে বিজেপির মিছিলের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। লালবাজার সূত্রে খবর, মিছিল আটকাতে খিদিরপুরে সেন্ট থমাস স্কুলের সামনে স্টিলের ব্যারিকেড বসানো হবে। ডিসি পোর্টের সঙ্গেই বাহিনী নিয়ে উপস্থিত থাকবেন ডিসি সাউথ। পুলিশের লক্ষ্য, অরফানগঞ্জ রোড ও ডিএইচ রোডের ক্রসিংয়েই মিছিলকে আটকে দেওয়া।
আরও পড়ুনঃ বুনিয়াদপুরে লাইসেন্স রিনিউ না করেই চলছিল নার্সিংহোম, সিল করল প্রশাসন
অরফানগঞ্জ রোড ও ডিএইচ রোডের ক্রসিংয়ে মিছিল আটকাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যালুমিনিয়াম ও লোহার গার্ডওয়ালের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি হেস্টিংস ক্রসিংয়েও ৬০টির মতো গার্ডওয়াল মজুত করা হচ্ছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মিছিল শুরুর পয়েন্টে বাহিনী নিয়ে থাকবেন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (সশস্ত্র পুলিশ) অখিলেশ চতুর্বেদী। তিনি গোটা পুলিশি ‘অপারেশন’ তদারকি করবেন। এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লালবাজারের উচ্চপদস্থ কর্তারা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584