নিজস্ব সংবাদদাতা,কোচবিহারঃ
শেষ পর্যন্ত কোচবিহারে জেলা শাসকের দফতরে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করতে সমর্থ হল বিজেপি। শুক্রবার দুপুরে ওই আন্দোলন কর্মসূচী শুরু হয়। ওই কর্মসূচীর নেতৃত্ব দেন বিজেপির জেলা সভাপতি নিখিল রঞ্জন দে, উৎপল কুমার দেব, ব্রজগোবিন্দ বর্মণ সহ বেশ কয়েকজন। তবে এদিনের কর্মসূচীতে মুকুল রায় ও লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মত নেতৃত্বরা আসার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত আসতে পারেন নি। দলের কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিল রঞ্জন দে অভিযোগ করে জানান, এর আগে ২২ জুন এই বিক্ষোভ কর্মসূচী করার জন্য প্রশাসনের কাছে নিয়ম মাফিক আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসন ওই দিন ক্ষমতাসীন দলকে দিয়ে এখানে কর্মসূচী করায়।
এরপর ১০ জুলাই ফের আবেদন করা হয়। সেদিনও মুখ্যমন্ত্রীর চ্যাংরাবান্ধায় আসায় কোচবিহার শহরের এই কর্মসূচীর অনুমোদন দেওয়া হয় নি।শেষ পর্যন্ত এদিন তাঁদের এই কর্মসূচী পালন করা হল বলে নিখিল বাবু জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “রাজ্যের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস প্রশাসনের মদত নিয়ে গোটা রাজ্যের সাথে কোচবিহারেও বিজেপি কর্মীদের উপরে সন্ত্রাস নামিয়ে এনেছে। আজও বহু বিজেপি কর্মী বাড়িঘর ছাড়া হয়ে আছেন। তাঁদের জমি দখল হয়েছে। ফসল কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তৃনমূলী হার্মাদরা তুলে নিয়ে গিয়েছে গরু ছাগল পর্যন্ত। এই অবস্থায় আমরা বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করার পাশাপাশি স্মারকলিপি দিয়ে প্রশাসনের কাছে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আবেদন করেছি।
তাতেও যদি প্রশাসন কিছু না করে, তবে বিজেপি কর্মীরা আত্মরক্ষার তাগিদে পাল্টা আক্রমণে যেতে বাধ্য থাকবে, তখন ওই পরিস্থিতির জন্য দায়ি থাকবে প্রশাসন।” তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল নিয়েও কটাক্ষ করেন নিখিল বাবু। তার কথায়, “দিনহাটায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের ফলেই থানার আইসি অসুস্থ হয়ে মারা যান। সিতাইয়ে তাঁদের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে পড়ে গুলি বিদ্ধ হন পুলিশ কর্মী। এই পরিস্থিতি খুব বেশী দিন চলতে দেওয়া যেতে পারে না। এর বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে একদিন মানুষই প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584