নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
সিএএ-র বিরুদ্ধে গোটা দেশ যেভাবে সোচ্চার হয়েছে তাঁর সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে গেরুয়া শিবিরকে বেশ থতমত খেতেই হচ্ছে।
তাদের তরফ থেকে বের করা সিএএ-র সমর্থনে মিছিল বা জনসমাবেশগুলিতে দলীয় কর্মী ছাড়া আমজনতার ভিড় সেভাবে দেখা যাচ্ছে না। তাই যৎপরোনাস্তি এই আইনকে সাংবিধানিক ও কার্যকরী দেখাতে তারা যা পারছে তাই করছে।
নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির সমর্থনে, প্রচারে, ঋত্বিক ঘটকের বেশ কিছু ছবির সংলাপ ব্যবহার করছে গেরুয়া শিবির। ঘটনা জানতে পারার পরেই ঘটক পরিবার এর প্রবল বিরোধিতা করে ভারতীয় যুব মোর্চাকে একটি চিঠি জমা দেয়।
চিঠির মুল বক্তব্য ছিল, ঋত্বিক ঘটকের বানানো ছবি, লেখা বই যাঁরা পড়েছেন তাঁরা জানেন, ছিন্নমূল মানুষের দুর্দশাপূর্ণ জীবনের গল্পই ওঁর ছবিতে বারবার ফুটে উঠেছে। তিনি অত্যন্ত মানবতাবাদী ও ধর্মনিরপেক্ষ মানুষ ছিলেন।
আরও পড়ুনঃ এনপিআর-এনসিআর-র পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে ভোলবদল শাহের
দেশভাগ এবং প্রান্তিক মানুষের জীবনের সারভাইভাল ঋত্বিকের ছবির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই ভাবকে জানতে ও বুঝতে গেলে ঋত্বিক নিয়ে রীতিমতো পড়াশুনা করতে হবে। গেরুয়া শিবিরের দেশপ্রেমের সাথে ঋত্বিকের ভিটেপ্রেম ও জমিহারা মানুষদের প্রতি সমবেদনার দূর দূর কোনও সম্পর্ক নেই।
পাশাপাশি ঘটক পরিবার জানিয়েছেন, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে, নয়া আইনের সমর্থনে, যেখানে দেশবাসীদের নতুন করে পরিচয়পত্র বানাতে হবে এবং সংখ্যা লঘুদের দেশ থেকে বিতাড়িত করার কথা ভাবা হয়েছে– তার সমর্থনে ঋত্বিক ঘটকের ছবির ব্যবহার পুরোপুরি অসমীচীন। তাই ঋত্বিক পরিবার ভারতীয় যুব মোর্চার পদক্ষেপের বিরোধিতা করছেন।
আরও পড়ুনঃ ‘গণতন্ত্রের ঝাড়বাতি অনেক বড়’, বিজেপিকে খোলামকুচি কটাক্ষ মমতার
এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রত্নিদেব সেনগুপ্ত ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে দেওয়া একটি বিবৃতিতে বলেছেন, “রাজনৈতিক কারণে নয়, মানবিক কারণেই তাঁর ছবিকে ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ওনারা ভুল বুঝছেন। ওনার (ঋত্বিক ঘটক) মত ব্যক্তিত্বকে অসম্মানের জন্য কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584