পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
“পুলিশকে মারলে কিছু হবে না,আমি বলছি পুলিশকে মারুন,পুলিশকে মারলে কিছু হবে না” বীরভূমের মহাম্মদবাজার থানার শ্রীকান্তপুরে একটি জনসভা থেকে এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপির বীরভূম জেলার সাধারণ সম্পাদক কালোসোনা মন্ডল।অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য মহিলা মোর্চার নেত্রী অনামিকা ঘোষ তৃণমূল কর্মীদের চোখ উপড়ে নেবার এবং হাত ভেঙে দেবার হুঁশিয়ারি দেন।
রবিবার বীরভূমের মহাম্মদবাজারের শ্রীকান্তপুরে একটি প্রকাশ্য জনসভা করে বীরভূম জেলা বিজেপি।এদিন সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির মহিলা মোর্চার সভাপতি লকেট চ্যাটার্জি,বীরভূম জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়, সাধারণ সম্পাদক কালসোনা মণ্ডলসহ জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বরা।এদিন সভামঞ্চে লকেট চ্যাটার্জী পৌঁছনোর আগে বক্তব্য দিয়েছিলেন বিজেপির জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বরা।
বক্তব্য দিতে গিয়ে বিজেপির বীরভূম জেলার সাধারণ সম্পাদক কালসোনা মন্ডল শাসক দলকে আক্রমণ করলেও তার আক্রমণের মূল লক্ষ্য ছিল বীরভূম জেলা পুলিশ।এদিন কালোসোনা মন্ডল পুলিশকে নিয়ে বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন,”দেখবেন খেজুর গাছ সহজে কিছু দেয় না কিন্তু যখন পাশি ডাঙ আর হেসো দিয়ে চাঁচে তখন রস বেরোই।একই রকম ভাবে পুলিশকে ভালোভাবে বললে কথা শুনবে না,ওদেরকে মারলে ওরা কথা শুনবে,তাই আমি বলছি মারুন,প্রশাসন কিছু করতে পারবে না।”তিনি শুধু বলেছেন তাই নয় বীরভূমের দুবরাজপুরের এস আই অমিত চক্রবর্তী খুনের ঘটনাকে উদাহরণ দেন।অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য মহিলা মোর্চার সম্পাদিকা অনামিকা ঘোষ তৃণমূলের কর্মীদের চোখ উপড়ে নেবার এবং হাত ভেঙে নেবার হুঁশিয়ারি দেন।তিনি এদিন সভামঞ্চ থেকে তৃণমূলের কর্মীসমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন,”আমি তৃনমুলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলছি যদি কোনো তৃনমুল কর্মী বিজেপি কর্মীদের চোখ রাঙান তাহলে সেই চোখ আমি উপড়ে নেব আর যদি কেউ বিজেপি কর্মীদের গায়ে হাত দেন তাহলে সেই হাত ভেঙে দেবো।”
কাল সন্ধ্যা মন্ডল এর পাশাপাশি বিজেপি নেত্রী লকেট চ্যাটার্জি আক্রমণ করেন পুলিশ প্রশাসনকে, তিনি প্রশাসনকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার দলীয় কর্মীদেরকে পরামর্শ দিলেন বিজেপির রাজ্য নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি অস্ত্র নিয়ে মোকবিলা করার নিদান দেন।বীরভূমের মহম্মদ বাজারের রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীকান্তপুর মোড়ে দলীয় সভা থেকে মন্তব্য করেন তিনি।
লকেট চট্টোপাধ্যায় নাম না করে অনুব্রত মণ্ডল এর সমালোচনা করে বলেন জেলার এক দাদা আছে যে মহিলাদের কে সম্মান দিতে জানে না। তাকে নাকি সব মানতে হবে।ভেঙে দিন গুঁড়িয়ে দিন প্রশাসন কিছু করতে পারবে না। আমরা দেখেছি প্রশাসন ঠুটো জগন্নাথ। কয়েকদিন আগে খড়দহ তে বিজেপির কর্মীর স্ত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে তাতে পুলিশ সেভাবে সক্রিয় ভূমিকা নেয় নি।যদিও আমাদের আন্দোলনের পরে একজনকে গ্রেফতার করেছে। নিজেদের বাঁচার তাগিদে পরিবারকে বাঁচানোর স্বার্থে সবাইকে রাস্তায় নেমে অস্ত্র ধরতে হবে। বিশেষ করে মহিলাদের কে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে।বীরভূমের পুলিশ সুপার শ্যাম সিং বলেন, বিজেপির আজকের সভার পুলিশের কোনো অনুমতি ছিল না,পুলিশের বিরুদ্ধে যে বক্তব্য পাওয়া গেছে তার জন্য আইনি ব্যবস্তা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ ইসলামপুর জনসভায় নিহত ছাত্রদের পরিবারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন শুভেন্দু
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584