নিজস্ব প্রতিবেদক,উত্তরদিনাজপুরঃমুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে গ্রামবাংলার মানুষ উন্নয়নে আস্থা রাখলেও উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের গ্রামের মানুষেরা সেই উন্নয়নের ছোঁয়া পেলেও আস্থা রাখতে পারলেন না । যার ফলে খোসারত দিতে হল অনেক গ্রাম পঞ্চায়েত আসন , জেলা পরিষদের ১৮ নং আসন,সহ তৃনমূল কংগ্রেস প্রার্থী তথা তৃনমূলের রাজ্য সম্পাদক অসীম ঘোষ কে।বাংলার প্রত্যন্ত কোনায় কোনায় যখন সবুজ শিবিরের দাপটে দিশাহারা গেরুয়া শিবির ঠিক তখন হঠাৎ ই কালিয়াগঞ্জের বাজারে কেমন করে যেন গেরুয়া শিবিরের চাহিদা বেড়ে গেল।খোঁজ নিয়ে জানা যায় তার কারন একটায় কালিয়াগঞ্জের গ্রামে গ্রামে ইতিমধ্যেই বর্ষার আগেই ফুটে গেছে পদ্ম ফুল। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হল এবারে ভোটে উত্তর দিনাজপুর জেলায় সবচেয়ে বেশী নজর কেড়েছে সেটা হল তৃনমূলের রাজ্য সম্পাদক অসীম ঘোষ জেলা পরিষদের আসনে বিজেপি প্রার্থীর কাছে হেরে যাওয়ার মতো ঘটনা। যা উত্তর দিনাজপুর জেলার তৃনমূল কংগ্রেসের কাছে একটি আশ্চর্য ঘটনা । পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষনার আগেই থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছিলেন তৃনমূল নেতা অসীম ঘোষ। এবারই প্রথম সরাসরি নিবার্চনে লড়াই করে নিজের জনপ্রিয়তা একটু ঝালাই করে নিতে তাই তিনি এবার দাঁড়ালেন জেলা পরিষদের ১৮ নম্বর আসনে।কিন্তু প্রথম থেকেই যেন দেখা যাচ্ছিল কালিয়াগঞ্জে আসীম ঘোষ বিরোধী নেতৃত্বদের বাড়া ভাতে অসীম বাবু যেন ছাই ফেলে দিয়েছে । কালিয়াগঞ্জ শহর ও গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় শোনা যায় একটা চর্চা যে কালিয়াগঞ্জ একটা ছোট্ট জায়গা কিন্তু এই জায়গায় তৃনমূলের কি শহর কি গ্রামে এত তৃনমূলের গোষ্ঠী রয়েছে যে বড় শহরের গোষ্ঠী বাজিকেও হার মানায়।অথচ কোন গোষ্ঠীবাজি যদি না থাকত তাহলে হয়ত কালিয়াগঞ্জের তৃনমূল কংগ্রেসের ফলাফল এত খারাপ হত না। অসীম বাবুর হারের পিছনে এটি একটি অন্যতম একটা কারন। তাছাড়া কালিয়াগঞ্জ ব্লক তৃনমূল সভাপতি দোধীমোহন দেবশর্মা ব্লকের সংগঠনকে ঠিকঠাক করার দায়িত্ব থাকলেও তিনি নিজের ছাড়া কালিয়াগঞ্জের অন্য কোন গ্রামপঞ্চায়েত গিয়ে ঠিক ঠিক ভাবে সংগঠনকে শক্ত মেরুদণ্ডের উপর দাঁড় করাতে পারেন নি।বেশীর ভাগ সময় দেখা যায় একই মানুষগুলির বার বার করে দলের ঝান্ডা দিয়ে দলে নিতে।অথচ কালিয়াগঞ্জের অন্যন্য গ্রামপঞ্চায়েত কেমন আছে সেদিকে নজর ছিল না ব্লক নেতৃত্বদের।তেমনই কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতি রাজ্য সরকার এর যে সমস্ত উন্নয়ন মূলক প্রকল্প গুলি রয়েছে এবং গ্রামগঞ্জে হয়েছে সেগুলি নিয়ে প্রচারে ব্যার্থ এবং এই ব্যার্থতার দায়ভার বিগত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির নেতৃত্বে কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির । প্রচার নিয়ে তাদের কোন মাথা ব্যাথা ছিল না।
তাই বেশীর ভাগ কালিয়াগঞ্জের গ্রামের মানুষ আজও জানতে পারেনি গ্রামের প্রকল্প গুলি রাজ্যে সরকার নাকি কেন্দ্রীয় সরকারের।অথচ বিজেপির কালিয়াগঞ্জের নেতৃত্ব তাদের প্রকল্প গুলি ভালো করে মানুষকে বোঝাতে পেরেছে যেটা পারল না তৃনমূলের কালিয়াগঞ্জের নেতৃত্ব। এটি কালিয়াগঞ্জের তৃনমূলের ফলাফল খারাপ হওয়ার অন্যতম কারন। এছাড়া অসীম বাবু মতো একজন তুখর রাজনিতিবিদ এর কয়েকটি রাজনিতির ভুল দাবার চাল ছিল তাঁর হারের অন্যতম কারন।যার মধ্যে অন্যতম ছিল তিনি যেসমস্ত সঙ্গপঙ্গ দের নিয়ে চলাফেরা করছেন এবারের নির্বাচনে তাদের গ্রামের মানুষ ভালো চোখে দেখন নি।তাছাড়া কালিয়াগঞ্জের থেকে কর্মি সমর্থকদের নিয়ে গিয়ে গ্রামে প্রচার গ্রামের নেতা কর্মিরা সেটা মন থেকে মেনে নিতে পারে নি বলে জানা যায়।গ্রামের অনেক কর্মি সমর্থকদের বক্তব্য অসীম বাবুর মতো এতবড় রাজনিতিবিদ কিভাবে এটা করতে পারলেন।তাছাড়া নির্বাচনের নমিনেশনের দিন থেকে যে ভাবে বিরোধীদলের প্রার্থীদের নমিনেশন বাধা দেওয়া হচ্ছিল সেটা গ্রামের মানুষ ভালো চোখে দেখে নি।এটা অসীম বাবুর দেখা উচিত ছিল বলে অনেক তৃনমূলের নেতাই মনে করেন যার ফলে বিজেপির শক্তি অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়ে যায় গ্রাম গঞ্জে। বিজেপি নেতৃত্ব গ্রামের মানুষদের কাছে একটাই বক্তব্য রাখেন উন্নয়ন যদি গ্রামে হয় তাহলে নমিনেশন বাধা কেন? এর বদলে বিরোধীদের সহযোগিতা করলে তৃনমূল এর পক্ষে অনুকুল হত।এছাড়া বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়ে তাদের বেশ কয়েকদিন ঘরছাড়া করাটা গ্রামের মানুষ ভালো চোখে দেখি নি।কারন সকলের পরিবার আছে। আর পরিবার ছেড়ে পরিবারের মালিক ঘড়ছাড়া বেশ কয়েকদিন পুলিশের ভয়ে।এটা গ্রামের মানুষের কাছে অপমান বলে মনে হয়েছে বলে গ্রামের অনেক মানুষরা জানান। এছাড়া নিবার্চনের সময় অসীম বাবুর মতো একজন জননেতার দেহরক্ষী নিয়ে ঘোড়াটাও গ্রামের মানুষ ভালো চোখে দেখে নি বলে গ্রামের মানুষরা জানান ।সবেশেষে আরেকটি কারন রয়েছে তার হারের পিছনে সেটা হল তার দলের কালিয়াগঞ্জের শহর ও গ্রামের নেতাদের অন্ততঘাত।তিনি যে সমস্ত নেতাদেরঊপড় আস্থা ও বিশ্বাস করে এবারের নির্বাচনে পা বাডিয়েছিলেন তাদের মধ্যে অনেকেই মির্জাফরের ভূমিকা পালন করে তাকে হারানোর জন্য অগ্রণী ভুমিকায় ছিলেন ।দলের রাজ্যস্তরের তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বদের উচিত দলের এই সমস্ত নেতাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া না হলে আগামী বিধানসভা, লোকসভা ও কালিয়াগঞ্জের পৌরসভা নির্বাচনে কালিয়াগঞ্জে তৃনমূলের ফলাফল যে খারাপ হবেই সে ব্যাপারে একশ শতাংশ নিশ্চিত ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584