সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
পশ্চিম বর্ধমানের বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষণ ঘড়ুইয়ের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দেখা গেল বিজেপি কর্মীদের একাংশকে। দুর্গাপুরে বিজেপির অন্তর্কলহের ছবি ফের প্রকাশ্যে এল।
বিক্ষোভকারীদের পক্ষে পিন্টু সেন অভিযোগ করেন, জেলা সভাপতি আগে ডেকোরেটর ব্যবসা করতেন। কিভাবে তাঁর এত বড় বাড়ি হলো কোথা থেকে? তাঁর এত অর্থ কিভাবে হল সে নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর দাবি, দীর্ঘদিন দলে থাকলেও তাঁরা গুরুত্ব পান না। কর্মীরা একদিকে মার খাচ্ছেন অন্যদিকে জেলা সভাপতি অর্থের বিনিময়ে হোটেল ব্যবসায়ীদের, প্রমোটারদের দলে নিচ্ছেন। অনেক কিছু জানেন বলেই দল থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দুর্গাপুরে বিজেপির চিন্তন বৈঠকের এই বিক্ষোভ যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলেছে দলকে।
যদিও জেলা সভাপতি লক্ষণবাবু সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবি পিন্টুবাবুকে বিজেপি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের নামে বদনাম করার চেষ্টা করছেন তিনি।
বিষয়টি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে জানানো হলে তিনি বলেন, দলীয় কর্মী সমর্থকরা অনুশাসন মেনে চলেন। যারা অনুশাসন মানে না দলে তাদের জায়গা নেই। অন্য দল থেকে বিজেপিতে যোগদান প্রসঙ্গে বিজেপির মধ্যে বিভাজন স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
বারবনির তৃণমূল বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়ের জেঠতুতো ভাই মলয় উপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দেন। এরপরে বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভ জানাতে দেখা যায়।
তাঁদের অভিযোগ তৃণমূলের কর্মী থাকাকালীন মলয়বাবুর হাতে বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন বহুবার। শুধু তাই নয় বিভিন্ন বেআইনি কারবারের সাথে তিনি জড়িত।
আরও পড়ুনঃ কাটমানি নেওয়ার অভিযোগে কাউন্সিলরের ভাইকে জুতোর মালা
এমন কাউকে দলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত তাঁরা মেনে নিতে পারছেন না। যদিও বিধায়ক বিধানবাবু ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন, মলয়বাবু কোনদিনই তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন না। দলের নাম ভাঙিয়ে নানা কারবার করার চেষ্টা করেছে।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি কটাক্ষ করে বলেন, বিজেপির এই শিবির দুশ্চিন্তার হয়ে গেল। এখন মুখ লুকোতে তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584