নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
পঞ্চায়েত ভোটে শালবনী ব্লকের ৮ নং গড়মাল অঞ্চল হাতছাড়া হয় তৃণমূলের। মানুষ সাময়িকভাবে ভুল বুঝে দূরে সরে গেলেও সংগঠনের ভিত যে অটুট, তা দেখা গেল লকডাউনের সময় শতাধিক তৃণমুল যুব কর্মীর রক্তদানের মাধ্যমে।
রক্তদান শিবিরে একজন বিশেষভাবে সক্ষম কর্মী ও দুজন মহিলা কর্মী সহ মোট ১২০ জন রক্ত দান করেন। ওই সংগৃহীত রক্ত মেদিনীপুর ও ডেবরা ব্লাডব্যাঙ্কে থাকবে। যাদের প্রয়োজন হবে তাদের ওই রক্ত দেওয়া হবে। এদিন রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করেন শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো।
রক্তদাতাদের শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার তৃণমুল যুব কংগ্রেসের সভাপতি প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী, কার্যকরী সভাপতি নির্মাল্য চক্রবর্তী, শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মিনু কোয়াড়ী ও শালবনীর সমস্ত যুব তৃনমূলের কর্মীরা। এছাড়াও তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা,ব্লক ও অঞ্চল নেতৃত্ব ও শিক্ষা সেলের তন্ময় সিংহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুনঃ চুঁচুড়া পুর এলাকায় বসল বিনামূল্যে সবজি বাজার
শালবনী ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি গৌতম বেরা জানান, ‘এটি ব্লকের কর্মসূচি হলেও শালবনীর গড়মাল অঞ্চলের ভাতমোড় প্রাথমিকে আয়োজিত রক্তদান শিবিরে স্থানীয় কর্মীরাই বেশি পরিমাণে আসেন।’ শালবনী ব্লক যুব তৃণমুলের কার্যকরী সভাপতি সেখ মাহমুদ আলম বলেন, ‘লকডাউনের মধ্যে ও রক্তদানের নির্দিষ্ট সীমা থাকায় বেশীরভাগ অঞ্চল থেকে কম কর্মীরা এলেও আমরা স্থানীয় গড়মাল ও বাঁকিবাঁধ অঞ্চল থেকে বিপুল সাড়া পেয়েছি।’
তিনি সকল রক্তদাতাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ও যুব তৃণমুলের জেলা সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ সিংহ জানান, ‘তৃণমুল কংগ্রেসের সমস্ত স্তরের কর্মীরা লকডাউনের মধ্যে ও আমফান বিপর্যয়ের পরেও মানুষের পাশে আছেন।’ তিনি যুব কর্মীদের কুৎসা ও ভুয়ো খবরের বিরুদ্ধে জনমত গড়ার আহ্বান জানান। যুব তৃণমুলের কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের জন্য তাদের ধন্যবাদ দেন শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মিনু কোয়াড়ী।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584