নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুরঃ
গ্রীষ্মকালীন রক্তের সংকট শুরু হয়েছে।তাই অনেক সময় প্রয়োজনীয় রক্ত ব্লাড ব্যাংকে পাওয়া যাচ্ছে না।ফলে অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যায় পড়ছেন রোগীর পরিজনেরা। সোমবার এভাবেই সমস্যায় পড়েন মেদিনীপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ঘাটালের জাড়া এলাকার গৃহবধূ সুপর্ণা ভূঞ্যার পরিজনেরা।সূপর্ণাদেবীর এবি পজেটিভ রক্তের প্রয়োজন ছিল।
ব্লাড ব্যাংকে রক্ত না পেয়ে রোগীর পরিজনেরা যোগাযোগ করেন শালবীথির সম্পাদিকা সমাজকর্মী রীতা বেরার সাথে।রীতা বেরা যোগাযোগ করেন মেদিনীপুর কুইজ কেন্দ্রের সদস্য সমাজকর্মী শিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়ার সাথে।দুজনেই ব্যক্তিগতস্তরে ডোনার খোঁজার পাশাপাশি বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন।সেই পোস্ট অনেকে শেয়ার করেন। রীতা বেরার পোস্ট দেখে রেসপন্স করেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া-১ নং ব্লকের সাহড়দা গ্রামের বাসিন্দা মেদিনীপুর কুইজ সদস্য শিক্ষক ভাস্করব্রত পতি। তিনি ফোনে কথা করেন রীতা বেরার সাথে। পাশাপাশি ফোনে যোগাযোগ হয সূদীপবাবুর সাথে।কিছুক্ষণের মধ্যেই মেদিনীপুর থেকে প্রায় ৭০ কিমি দূরের সাহড়দা গ্রামের নিজের বাড়িতে বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়েন মেদিনীপুরের উদ্দেশ্যে।
আরও পড়ুনঃ ব্রেকিংঃ ভরসন্ধ্যায় বহরমপুরের জনবহুল রাস্তায় কুপিয়ে হত্যা কলেজ ছাত্রীকে
সন্ধ্যার আগেই ভাস্করবাবু মেদিনীপুর ব্লাড ব্যাংকে পৌঁছে যান এবং রক্তদান করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সমাজকর্মী রীতা বেরা, সুদীপ কুমার খাঁড়া, রাহুল কোলেসহ রোগীর পরিজনেরা। উপস্থিত সকলকে ভাস্করবাবুকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি উল্লেখ্য সুদীপ বাবুর পোস্টে রেসপন্স করে সমাজকর্মী রাহুল কোলে রক্তদাতা সুমন ঘোষকে নিয়ে ব্লাড ব্যাংকে উপস্থিত হয়েছিলেন এবং বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিক সুদীপ দাসও রক্ত দিতে হাজির হয়েছিলেন।ভাস্করবাবু রক্তদান করায় শেষমেষ শেষোক্ত দুজন রক্তদাতাকে রক্তদিতে হয়নি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584